Sunday, December 11, 2016

সৎসঙ্গ /sanatan dharmer prachar

সৎসঙ্গ: 
সৎসঙ্গ বা অনুকূল ঠাকুরের শিষ্যরা ভ্রান্ত পথে আছে।কারন, ধর্মের পথ হচ্ছে গুরু ও কৃষ্ণের প্রতি অনুগত থাকা।কিন্তু এখানে সবাই অনুকূল ঠাকুরের প্রতি অনুগত, কৃষ্ণের প্রতি নয়।এর কারন হল, সৎসঙ্গের কেউ অনুকূল ঠাকুরের কাছ থেকে দীক্ষা নেইনি।নিয়েছে হাবিজাবি মানুষদের কাছ থেকে, আর নাম দিয়েছে অনুকূল ঠাকুরের। অনুকূল ঠাকুর আজ থেকে ৫০ বছর আগে দেহ ত্যাগ করেছেন।তবু এখনো তার নামে দীক্ষা দেওয়া হয়।অর্থাৎ এখন যারা সৎসঙ্গ থেকে দীক্ষা নিবে, তারা কোন দিন পরলোক গত গুরু অনুকূল ঠাকুরের কোনদিন সাক্ষাৎ পাবে না।বুঝতে পারছেন আমাদের কত বোকা বানানো হচ্ছে। গুরুর কাছে যেতে হয়, তার মুখের কথা শুনতে হয়।কিন্তু সৎসঙ্গীরা হচ্ছে দুর্ভাগা, তারা কোনদিন তাদের গুরু অনুকূল ঠাকুরকে দেখেনি, কোনদিন দেখবেও না।
দীক্ষা দেওয়ার নামে এটি একটি মালটিন্যাসনাল কোম্পানি। মার্কেটিং অফিসার নামে হাজার হাজার ঋত্বিক নিয়োগ দেওয়া হয়।তারপর তাদের গ্রামে গ্রামে পাঠানো হয়,যাও যে ভাবে পারো অনুকূল ঠাকুরের নামে দীক্ষা দিয়ে এসো।এখন এই অফিসার ঋত্বিকরা তাদের চাকুরী বাঁচানোর জন্য হন্যে হয়ে গ্রামে গ্রামে, এলাকায় এলাকায় ঘুরে বেড়ায়।মাসে যদি ৫০ থেকে ১০০ টি দীক্ষা দিতে না পারে,তবে ঋতিক চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হবে।তখন কি লজ্জা?  এই ভয়ে তারা মানুষদের দীক্ষা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন।বিভিন্ন লোভ দেখান অথবা বিভিন্ন ভয় দেখান।
যারা সৎসঙ্গ থেকে দীক্ষা নিয়েছেন, তারা জানেন, দীক্ষার সময় শপত করানো হয় যে, আজ থেকে অনুকূল ঠাকুরকে প্রতিষ্ঠা করাই আমার জীবনের মূল লক্ষ্য।আপনের কি মনে হয়, এটা অনুকূল ঠাকুরের কথা?  এটা অন্য কোন ব্যক্তির কথা।অনুকূল ঠাকুরের কাছ থেকে যদি দীক্ষা নিতেন, তবে আপনাকে শিখাতো,ভগবানকে প্রতিষ্ঠা করা তোমার জীবনের মূল লক্ষ্য হোক।
আপনি সৎসঙ্গ মন্দিরে গিয়ে ভগবানের কোন ছবি বা বিগ্রহ পাবেন?  পাবেন না। কারন এরা অনুকূল ঠাকুরকে ভগবান বানিয়ে, তাকেই আসনে বসিয়ে রেখেছে।সৎসঙ্গের ভগবান বা সৃষ্টিকর্তা হচ্ছে অনুকূল ঠাকুর।তাদের অন্য আর কোন ঈশ্বর নেই। হয়তো বা কোন একদিন বলবে আমরা হিন্দু না আমরা সৎসঙ্গী।আমাদের সৃষ্টিকর্তা ভগবান অনুকূল। আর তার মুখের বাণী পুর্ণপুথি।
এই কথা গুলোর প্রমাণ চান? আমাকে দুজন ঋত্বিক বলেছিল, তুমি গলায় তুলসীর মালা কেন পড়েছো, ছিড়ে ফেল,কলিযুগে কোন তুলসীর মালা নেই।আবার আরেক জন বলেছিল, তুমি শিব মন্দিরে, কৃষ্ণ মন্দিরে কেন যাবে, আমরা সৎসঙ্গী, আমাদের অনুকূল ঠাকুর আছে।
এখন এই যদি হয় তাদের মনোভাব, তাহলে ভবিষৎতে  তু আরো ব্যাপক আকার ধারন করবে।
অনুকূল ঠাকুরকে আগে গুরু বলতো, তারপর যুগাবতার বলা শুরু করলো, আর এখনতো সরাসরি ভগবানই বলা হয়।আর ভবিষৎতে হয়তো বা বলবে, পরমেশ্বর ভগবান অনুকূল ঠাকুর আমাদের সকলের সৃষ্টিকর্তা, তাই আমাদের শুধু মাত্র তারই উপসনা করা উচিত, তারই শরণাগত হওয়া উচিত, অন্য আর কেউর নয়।
অনুকূল ঠাকুরের বউ, ছেলে মেয়ে, নাতি,পুতি এদের সবাইকে নিয়ে একটা ভগবান পরিবার।মন্দিরে শুধু এরাই থাকবে, আর কেউ নয়।সাধারণ হিন্দু যদি কখনো সৎসঙ্গ মন্দিরে যায়, সে অবশ্যয় তখন প্রশ্ন করিবে, যে এটা কোন পরিবারের মন্দির???
বি: দ্র: উপরের কথা গুলো পড়ে, কোন নাম ধারী অনুকূল ঠাকুরের শিষ্য কষ্ট নিবেন না।আপনেরা কথা গুলো চিন্তা করেন, সব কথা সত্যি কিনা।মন্দির হওয়া উচিত ছিল, মূল আসনে থাকবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, আর পাশে থাকবে সৎসঙ্গের প্রতিষ্ঠাতা গুরু হিসেবে অনুকূল ঠাকুর। তাহলে কত সুন্দর হতো।কিন্তু অতি পাকনা শিষ্যরা কি বানিয়ে রেখেছে।আর দীক্ষা হবে পরম্পরা ধারায়। অনুকূল ঠাকুর এখন আর সামনে নেই, তাই এখন গুরু হিসেবে অন্য কাউকে  তৈরি করতে হবে। সে শিষ্যের সকল দায়িত্ব নিবে।আর ভুল প্রচার না করে, অনুকূল ঠাকুরকে ভগবান না বানিয়ে কৃষ্ণ ভক্তি প্রচার করতে হবে। অনুকূল ঠাকুরও একজন পরম কৃষ্ণ ভক্ত,তিনি সব সময় কৃষ্ণ কথাই বলতেন।

@@ আসুন আমরা কিছু অনুকূল ঠাকুরের বাণী পড়ি।
১। মন ওখান থেকেই ঠিক হবে। ও তোর আধার ঘরে জ্বলবে আলো,হরে কৃষ্ণ বল। ( আলোচনা প্রসঙ্গে/২১/পৃ.২২৮ )

২। সমস্ত গীতার মধ্যে ঘুরে ফিরে ঐ ইষ্ট প্রাণ হওয়ার কথা, ঐ কৃষ্ণ প্রাণ হওয়ার কথা, সমস্ত মহাপুরুষদের কথা ঐ, শিক্ষাই ঐ, কাজই ঐ । ঐ টুকুর অভাবেই তো জন্ম জন্মাতরে কত কষ্ট। ভগবানকে যে বুকে বয়ে নিয়ে বেড়ায় তার আবার পরোয়া কি। ( আলোচনা প্রসঙ্গে/৬/পৃ.২০৭)

৩। কৃষ্ণ ভিন্ন উপায় নাই আর সংসারে । ( পুন্যাপুথি-১০/৮৫)

৪। তোদের লক্ষ্য ভগবান। (পুন্যপুথি-১১/৩২)

৫। কৃষ্ণ নামে বিপদ থাকে না। বিপদ আপদ আসতে পারে না। ( পুন্যপুথি-১২/৫৯ )

৬। কেবল দিবি, বলবি কৃষ্ণনাম করতে, সব দূর হবে । ( পুন্যপুথি-১২/৬১ )

৭। যে যায়গায় নাম কীর্তন হয় না, সে যায়গা শ্মশান বলে জানবি। হরে কৃষ্ণ নামে আধিব্যাধি সব দূর হয়, মুক্তি তার করতলে । ( পুন্যপুথি-১৭/২)

৮। সেই বিবেকের আকুল আহ্বান শুনে হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ বলে ডাকায় তার সকল দুঃখ ঘুচে যায়। ( পুন্যপুথি-১৮/৩)

৯। জীব কৃষ্ণের নিত্য দাস যবে ভুলি গেলা, মায়া পিশাচী তার গলে দরি দিলা মানুষ যদি ভগবানের বাঁধনেবাঁধা না থাকে, তাহলে শয়তানের বাঁধনে বাঁধা পড়বেই যে কোন না কোন রকমে । ( আলোচনা প্রসঙ্গে,২য় খন্ড, ১২/১২/১৯৪১)

১০। ভগবান, ঈশ্বর, ঠাকুর বললে কেমন জানি আকাশের কেউ বা শূন্য শূন্য মনে হয়, তার থেকে কৃষ্ণ বললে নিজের বা আমার কৃষ্ণ মনে হয়। তাই ভগবান, ঈশ্বর , ঠাকুর এর চেয়ে কৃষ্ণ বললেই ভাল হয়। ( আলোচনা প্রসঙ্গে- ১৪ পৃষ্টা-৩৩)
--------------------------------------------
এখন আমাদের বিবেক দিয়ে চিন্তা করা উচিত, আমরা কোন পথে আছি।আমরা কি এখন বেদ গীতা অনুসারে চলবো, নাকি নিজেদের মত বিভিন্ন মত তৈরি করে, হিন্দু জাতিকে খন্ডে খন্ডে বিভক্ত করবো।এই সমস্যা কিন্তু শুধুমাত্র সৎসঙ্গে না, রামকৃষ্ণ মিশন, মাতুয়া সংঘ এই রকম অনেকেই। এদিক দিয়ে ইসকন, গৌড়ীয় মঠ,নিম্বাক অনেকটাই ভাল, কারন তাদের মূল লক্ষ্য কৃষ্ণ। আমরা যে সংঘেই থাকি, আমাদের মূল লক্ষ্য হোক, এক ঈশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি,বেদ- গীতা শাস্ত্রের প্রতি ও কলিযুগের মহামন্ত্র হরেকৃষ্ণ এর প্রতি।আর আমাদের মন হোক, আমরা সকল হিন্দু ভাই ভাই।হরেকৃষ্ণ

Tuesday, November 29, 2016

হিন্দুদের সমস্যা /sanatan dharmer prachar

হিন্দুদের সমস্যা :::
হিন্দুদের প্রধান সমস্যা কি জানেন?
এরা এত বছর পরও শিখতে পারেনি,
তাদের সৃষ্টিকর্তা কে। আর এটিই
হিন্দুদের প্রধান সমস্যা।
যেমন, কোন পিতার যদি চার পাঁচ
 জন  সন্তান থাকে,তবে ঐ সন্তানরা
নিজেদের ভাই ভাই মনে করে।
তেমনি হিন্দুরা যদি এক সৃষ্টিকর্তায়
বিশ্বাসী হয়,তবে সকল হিন্দু
নিজেদের মধ্যে ভাই ভাই সর্ম্পক
মনে করতে পারবে।
কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে কি
হয়েছে? কেউ কৃষ্ণ ভক্ত,কেউ শিব
ভক্ত,কেউ নিরাকার ব্রহ্মের
ভক্ত,কেউবা বিভিন্ন দেবদেবীর
ভক্ত,আবার অনেকে বিভিন্ন
মানুষকে অবতার বানিয়ে, তাদের
ভক্ত।প্রত্যেকে আলাদা দল বা
গোষ্ঠীর মত হয়ে গেছে। তার
নিজের মতই বড়, এবং এই মতবাদ
প্রতিষ্ঠা করাই তার জীবনের ব্রত।
তাই হিন্দুদের প্রতিটি সংঘই এক
একটি ধর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।কোন
সংঘই কোন সংঘকে দেখতে পারে
না।আর না পারাটাই স্বাভাবিক,
কারন তাদের উপাসক
আলাদা,উপসনা আলাদা, এমনকি
পোষাকও আলাদা।
আমরা হিন্দু মোসলমান, খ্রিষ্টান,
বৌদ্ধ এরকম ধর্মের সাথে
ঠেলাঠেলি করি।কারন এসব ধর্মে
ধর্মে মতে মিল নেই, প্রত্যকের
সৃষ্টিকর্তা আলাদা, প্রত্যকের
উপসনা আলাদা।তেমনি হিন্দুদের
মধ্যে যে হাজার হাজার সংগঠন
রয়েছে, প্রত্যকের সৃষ্টিকর্তা
আলাদা,তাই এই সংগঠন গুলো এক
একটা ধর্ম হয়ে গেছে।
তাই সব হিন্দুদের মিলন,বা ভাই ভাই
সম্পর্ক সম্ভব নয়।আমি আমার কথা
বলি,আমি কোন সংঘের সাথে যুক্ত
নই।এর মানে আমি একা,আমি
ইসকন,সৎসঙ্গ,রামকৃষ্ণ মিশন,আর্য,হরিচা
দ কোন সংঘই করি না।এরা আগে
সংঘের নাম বলে, পরে ধর্ম বলে।
কিন্তু আমি সনাতনী বা হিন্দুই বলি
অন্য কিছু নয়।এখন হয়তো সব সংঘের
লোকেরা আমাকে নতুন কোন ধর্মের
লোক বলে মনে করবে।আবার বেদ,
গীতা,উপনিষদ পরে আমার যে
জ্ঞান হয়েছে আর আমার উপলব্দি
দিয়ে বুঝতে পেরেছি, এই বিশ্ব
ব্রহ্মান্ডে একমাত্র কৃষ্ণই সৃষ্টিকর্তা।এ
কথা শুধু আমার নয়, ব্যাসদেব,
শঙ্করাচার্য,রামানুজ, চৈতন্য
মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, ঠাকুর
অনুকূল চন্দ্র প্রভৃতি সবাই বলেছেন।
তাই প্রত্যেক হিন্দু যদি শাস্ত্র এবং
এই সব মহান ব্যক্তিদের কথা অনুসারে
কৃষ্ণ ভক্ত হতো, তাহলে সকল হিন্দুরা
ভাই ভাই হতে পারতো,
মিলেমিশে অনেক শান্তিতে
থাকতে পারতো।
কিন্তু তা কি কখনো সম্ভব হবে?
এখনোই দেখবেন বিভিন্ন সংঘের
লোকেরা কানাঘুষা করবে এবং
রাগও করবে,কেন আমি তাদের
সংঘের ঈশ্বরের নাম না বলে, কৃষ্ণকে
ঈশ্বর বললাম।
তবু তাদের রাগকে উপেক্ষা করে,
দুহাত তুলে সবার উদ্দেশ্যে বললাম,
আসেন আমরা সবাই এক ঈশ্বর
শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত হই, সব হিন্দুরা এক হই,
সবাই মিলেমিশে ভাই ভাই সম্পর্কে
থাকি।

       জয় শ্রীকৃষ্ণ

সমীর চন্দ্র পন্ডিত / samir chandra pondit

Monday, November 14, 2016

বেদ ও শ্রীকৃষ্ণ /sanatan dharmer prachar

বেদ ও শ্রীকৃষ্ণ
বেদ শব্দের অর্থ জ্ঞান এবং সেটি ভগবান থেকে প্রকাশিত হচ্ছে. বেদ শাশ্বত ও অপৌরুষেয় ঃ পরম জ্ঞান নিত্য ও কোন মানুষের রচিত নয়. শাস্ত্রীয় ইতিহাস অনুসারে, সৃষ্টির আদিতে ব্রক্ষ্মান্ডের প্রথম জীব স্বয়ম্ভু ব্রক্ষ্মা এই বেদ-জ্ঞান লাভ করেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণর নিকট থেকে, তার বেণুধ্বনির মাধ্যমে
যো ব্রক্ষ্মাণং বিদধাতি পূর্ব্বং যো বৈ
বেদাংশ্চ গাপয়তি স্ম কৃষ্ণঃ. (- 1/২4 গোপালতাপনী উপনিষদ)
"যিনি সৃষ্টির আদিতে ব্রক্ষ্মাকে বৈদিক জ্ঞান উপদেশ করেছিলেন এবং পূর্বে বৈদিক জ্ঞান বিস্তার করেন, তিনি শ্রীকৃষ্ণই."
ব্রক্ষ্মসংহিতায় শ্রীকৃষ্ণকে বেদের সারসত্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে (তুষ্টাব বেদসারেণ স্তোত্রেণানেন কেশবম - 5/২8). বেদ অনুসারে, ব্রক্ষ্মা ভগবান শ্রীবিষ্ণু হতে উদ্ভূত, আর শ্রীকৃষ্ণ শ্রীবিষ্ণুরও উৎস. জড় জগতে ভগবানের তিনটি পুরুষাবতার - বিষ্ণুরূপ প্রকাশিতঃ
(1) প্রথম পুরুষাবতারঃ কারণোদকশায়ী বিষ্ণু বা মহাবিষ্ণু - কারণ-উদক সাগরে (কার্যকারণ মহাসাগর) শায়িত এই মহাবিষ্ণুর বিরাট শরীর থেকে কোটি কোটি ব্রক্ষ্মান্ড (universes এর ক্লাস্টার) প্রকাশিত হয়, মহাপ্রলয়ে (অবলুপ্তি) সমস্ত জড় ব্রক্ষ্মান্ডগুলি ধ্বংস হয়ে সূক্ষ্ম জড় উপাদনরূপে (মহত্তত্ব) তাঁর দিব্য শরীরে বিলীন হয়.
(২) দ্বিতীয় পুরুষাবতারঃ গর্ভোদকশায়ী বিষ্ণু - মহাবিষ্ণু নিজেকে কোটি কোটি রূপে বিস্তার করে প্রতিটি ব্রক্ষ্মান্ডে প্রবেশ করে ব্রক্ষ্মান্ডের গর্ভোদকে শয়ন করেন. তারপর ব্রক্ষ্মাকে সৃষ্টি করেন. ব্রক্ষ্মার মাধ্যমে সূর্য ও চতুর্দশ ভুবন বা গ্রহলোকসমূহ (গ্রহ সিস্টেম) সৃষ্টি করেন.
(3) তৃতীয় পুরুষাবতারঃ - ক্ষীরোদকশায়ী বিষ্ণু - প্রতি ব্রক্ষ্মান্ডে শ্রীবিষ্ণু নিজেকে অসংখ্য রূপে বিস্তার করে করে জীবসত্তাকে ভগবদধামে ফিরে আসতে সাহায্য করার জন্য প্রত্যেক জীব হৃদয়ে পরমাত্মারূপে অবস্থান করেন.
এইভাবে, কোটি কোটি, অসংখ্য অনন্তরূপে ভগবান নিজেকে বিস্তার করেন, কিন্তু তিনি 'অদ্বৈতম' (অ দ্বৈত) তিনি এক ও অভিন্ন এবং সকল রূপের পরম উৎস শ্রীকৃষ্ণ স্বরূপ, এটিই বৈদিক শাস্ত্রের সিধান্ত. ব্রক্ষ্মসংহিতায় বলা হয়েছে (5/33) -
অদ্বৈতম-অচ্যুতম-অনাদিম-অনন্তরূপম
আদ্যং পুরাণপুরুষং নবযৌবনঞ্চ.
বেদেষু দুর্লভম-অদুর্লভম-আত্মভক্তৌ
গোবিন্দম-আদি পুরুষং তমহং ভজামি ..
"যিনি অদ্বৈত, অচ্যুত, অনাদি, অনন্তরূপসম্পন্ন, আদি পুরাণপুরুষ হয়েও নিত্যনবনবায়মান যৌবনসম্পন্ন সুন্দর পুরুষ, বেদাদি শাস্ত্র পাঠে দুর্লভ কিন্তু শুদ্ধ আত্মভক্তির লভ্য, সেই আদিপুরুষ গোবিন্দকে আমি ভজনা করি."
বেদে সর্বদেবতার উপাস্য ভগবান রূপে শ্রীবিষ্ণুকে স্তুতি করা হয়েছে, যেমন ঋগবেদে (1/২২/২0) বলা হয়েছে -
ওঁ তদবিষ্ণোঃ পরমং পদং সদা
পশ্যন্তি সূরয়ো দিবীব চক্ষুরাততম.
তদবিপ্রাসো বিপন্যবো জাগৃবাংষঃ
সমিন্ধতে বিষ্ণোর্যৎ পরমং পদম ..
"পরমেশ্বর বিষ্ণুই হচ্ছেন পরম সত্য. সুরগন তাঁর পাদপদ্ম দর্শনে সর্বদাই উদগ্রীব. সূর্যের মতোই ভগবান তাঁর শক্তিরশ্মির বিস্তার করে সর্বত্র ব্যাপ্ত আছেন. "
ঋগবেদে 1/২২/17, 1/২২/18, 1/154/1, 1/15২/২, 1/154/3​​, 1/154/4, 1/154/6 নং মন্ত্রে বিষ্ণুর কথা বলা হয়েছে.
অথর্ববেদে বলা হয়েছে, যো ব্রক্ষ্মাণং বিদধাতি পূর্বং যো বৈ বেদাংশ্চ গাপয়তি স্ম কৃষ্ণঃ. অর্থাৎ - "ব্রক্ষ্মা, যিনি পূর্বকালে জগতে বৈদিক জ্ঞান প্রদান করেন, সেই জ্ঞান তিনি সৃষ্টির আদিতে যাঁর কাছ থেকে প্রাপ্ত হন তিনি হচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণ."
শ্রীবিষ্ণু শ্রীকৃষ্ণেরই প্রকাশ বা বিস্তার, শাস্ত্রের সিধান্ত, যেমন সকল বেদ উপনিষদের সার গীতোপনিষদ, ভগবদগীতায় শ্রীকৃষ্ণকে বিষ্ণু বলে সম্বোধন করা হয়েছে - শমং চ বিষ্ণো (11/২4), প্রতপন্তি বিষ্ণো - (11/30), আদিত্যানাম অহং বিষ্ণু (10/২1) ইত্যাদি. শ্রীকৃষ্ণই শ্রীবিষ্ণুরূপে সর্বজীবের অন্তরস্থিত পরমাত্মা - অহমাত্মা গূঢ়াকেশ সর্বভূতাশয়স্থিতঃ (10/
২0). বিষ্ণুমূর্তি-সমূহ, রাম-নৃসিংহ ইত্যাদি অবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণরই প্রকাশ, অংশ, কলা. শ্রীকৃষ্ণই স্বয়ং ভগবান (এতে চাংশ কলাঃ পুংসঃ কৃষ্ণস্ত ভগবান স্বয়ম - ভাগবতম 1/3/২8). ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পূর্ণপরাৎপর পুরুষ, সেজন্য তাঁর থেকে অসংখ্য ভগবৎ-রূপ বিস্তার হলেও তিনি তাঁর পূর্ণস্বরূপে নিত্যবিরাজমান. শ্রীঈশোপনিষদে যেমন বলা হয়েছে (1 আবাহন)
ওঁ পূর্ণমদঃ পূর্ণমিদং পূর্ণাৎ পূর্ণাৎ পূর্ণমুদচ্যতে.
পূর্ণস্য পূর্ণমাদায় পূর্ণমেবাবশিষ্যতে ..
"পরমেশ্বর ভগবান সর্বতোভাবে পূর্ণ. তিনি সম্পূর্ণভাবে পূর্ণ বলে এই দৃশ্যমান জগতের মতো তাঁর থেকে উদ্ভূত সব কিছুই সর্বতোভাবে পূর্ণ. যা কিছু পরম পূর্ণ থেকে উদ্ভূত হয়েছে তা সবই পূর্ণ. কিন্তু যেহেতু তিনি হচ্ছেন পরম পূর্ণ, তাই তাঁর থেকে অসংখ্য অখন্ড ও পূর্ণ সত্তা বিনির্গত হলেও তিনি পূর্ণরূপেই অবশিষ্ট থাকেন. "
ভগবদগীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণর কয়েকটি উক্তি
বেদ্যং পবিত্রং ওঙ্কার - 9/17 - আমাকে পবিত্র ওঙ্কার বলে জানবে.
প্রণবঃ সর্ববেদেষু - 7/8 - সমস্ত বেদে উল্লেখিত প্রণব (ভগবানের নির্বিশেষ নাম) আমিই.
বেদে চ প্রথিতঃ পুরুষোত্তম - 15/18 - বেদে আমি পুরুষোত্তম নামে খ্যাত
বেদানং সামবেদোহস্মি - 10/২২ - সমস্ত বেদের মধ্যে আমি সামবেদ
ঋক সাম যজুরেব চ - 9/17 - ঋক, সাম, যজুর্বেদাদিও আমি
বৃহৎসাম তথা সাম্নাং গায়েত্রী ছন্দসামহম - 10/35 - আমি সামবেদের মধ্যে বৃহৎসাম, সমস্ত ছন্দের মধ্যে গায়েত্রী.
অহং হি সর্বযজ্ঞানাং ভোক্তা চ প্রভুরেব চ - 9/২4 - আমি সমস্ত যজ্ঞের ভোক্তা, প্রভু.
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আরও বিপ্লবাত্মক কথা বলেছেন - তিনি বলেন (গীতা ২/4২)
"বিবেকবর্জিত লোকেরাই বেদের পুষ্পিত বাক্যে আসক্ত হয়ে স্বর্গসুখ ভোগ, উচ্চকুলে জন্ম, ক্ষমতা লাভ-আদি সকাম কর্মকেই জীবনের চরম উদ্দেশ্য বলে মনে করে. ইন্দ্রিয়সুখ ভোগ ও ঐশ্বর্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তারা বলে যে, তার ঊধ্বে আর কিছুই নেই. "
ভগবদগীতাকে সমস্ত বেদ-উপনিষদের সার-নির্যাস বলা হয় (সর্বোপনিষদোগাবো). ভগবান শ্রীকৃষ্ণর উক্তি ও ভগবদগীতার তথ্যের সাথে বেদ-উপনিষদের মৌল তত্ত্বের সুস্পষ্ট সামঞ্জস্য রয়েছে. নিম্নে কিছু সাদৃশ্য লক্ষ্য করুন -
1. ভগবদগীতা - 8/9 নং শ্লোক ও 13/18 নং শ্লোক আর শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের (3/8) নং শ্লোক একই
২. গীতার 15/14 নং শ্লোক আর বৃহদারণ্যক উপনিষদ 5/9/1 নং শ্লোক একই.
3. গীতার 9/10 নং শ্লোক আর ঐতরেয় উপনিষদ 3/11 নং শ্লোক এক.
4. গীতার 15/18 নং শ্লোক আর ছান্দোগ্য উপনিষদ 8/1২/13 নং শ্লোকে একই কথা বলা হয়েছে.
5. গীতার 7/২ নং শ্লোক আর মুন্ডক উপনিষদ 1/3 নং শ্লোকে একই কথা বলা হয়েছে.
6. গীতার 10/২ নং শ্লোক আর শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ 6 / 7-8 নং শ্লোক একই.
7. গীতার ২/২0 নং শ্লোক আর কঠোপনিষদ 1/২/18 নং শ্লোক একই.

দীক্ষা /sanatan dharmer prachar

প্রণাম মন্ত্র /sanatan dharmer prachar

বাংলা অনু্বাদ সহ প্রণাম মন্ত্রঃ

শ্রীগুরুর প্রণাম :

ওঁ অজ্ঞানতিমিরান্ধস্য জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া।
চক্ষুরুন্মীলিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরুবে নমঃ।।

অনুবাদঃ অজ্ঞতার গভীর অন্ধকারে আমার জন্ম হয়ে ছিল এবং আমার গুরুদেব জ্ঞানের আলোক বর্তিকা দিয়ে আমার চক্ষু উন্মীলিত করলেন। তাকেঁ জানাই আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি।

শ্রীকৃষ্ণের প্রণাম:

হে কৃষ্ণ করুণাসিন্ধো দীনবন্ধো জগৎপতে।
গোপেশ গোপীকাকান্ত রাধাকান্তায় নমোহস্তুতে।।

অনুবাদঃ হে আমার প্রিয় কৃষ্ণ, তুমি করুণার সিন্ধু, তুমি দীনের বন্ধু, তুমি সমস্ত জগতের পতি, তুমি গোপিকাদের ঈশ্বর এবং শ্রীমতি রাধারাণীর প্রেমাষ্পন্দ, আমি তোমার শ্রীপাদ্পদ্মে সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি।

শ্রী রাধারাণীর প্রণাম:

অনুবাদঃ তপ্তকাঞ্চন গৌরাঙ্গীরাধে বৃন্দাবনেশ্বরী।
বৃষভানুসূতে দেবী ত্বং নমামি কৃষ্ণপ্রিয়ে।।
অনুবাদঃ শ্রীমতি রাধারাণী, যার অঙ্গকান্তি তপ্ত কাঞ্চনের মতো এবং যিনি বৃন্দাবনের ঈশ্বরী, যিনি মহারাজ বৃষভানুর দুহিতা এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রেয়সী, তাঁর চরণকমলে আমি আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি জানাই।

শ্রী শ্রী তুলসীদেবীর প্রণাম:

ওঁ বৃন্দায়ৈ তুলসীদেব্যৈ প্রিয়ায়ৈ কেশবস্য চ।
কৃষ্ণভক্তি প্রদে দেবী! সত্যবত্যৈ নমো নমঃ।।

অনুবাদঃ কেশবপ্রিয় বৃন্দাদেবী যিনি কৃষ্ণ-ভক্তি প্রদান করেন, সেই সত্যবতী তুলসী দেবীকে আমি বার বার প্রণাম নিবেদন করি।

শ্রীগৌরাঙ্গ প্রণাম:

নমো মহাবদান্যায় কৃষ্ণপ্রেমপ্রদায় তে।
কৃষ্ণায় কৃষ্ণচৈতন্যনাম্নে গৌরত্বিষে নমঃ।।

অনুবাদঃ আমি পরমেশ্বর ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুকে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই, যিনি স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ এবং অন্যান্য অবতার অপেক্ষা উদার, তিনি অত্যন্ত দুর্লভ কৃষ্ণপ্রেম প্রদান করেছেন, তাঁকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি জানাই।

শ্রী শ্রী পঞ্চতত্ত্ব প্রণাম:

পঞ্চতত্ত্বাত্মকং কৃষ্ণং ভক্তরূপস্বরূপকম্।
ভক্তাবতারং ভক্তাখ্যং নমামি ভক্তশক্তিকম্।।

অনুবাদঃ ভক্তরূপ, ভক্তস্বরূপ, ভক্ত অবতার, ভক্ত এবং ভক্ত শক্তি এই পঞ্চতত্ত্বাত্মক শ্রীকৃষ্ণের শ্রীচরণ কমলে প্রণতি নিবেদন করি। (ভক্তরূপ-শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু, ভক্তস্বরূপ-নিত্যানন্দ প্রভু, ভক্তাবতার-অদ্বৈত আচার্য প্রভু, ভক্ত-শ্রীবাস ঠাকুর, ভক্তশক্তি-শ্রীগদাধর পন্ডিত)

শ্রী শ্রী বৈষ্ণব প্রণাম:

বাঞ্ছা কল্পতরুভ্যশ্চ কৃপাসিন্ধুর্ভ এব চ।
পতিতানাং পাবনেভ্য বৈষ্ণবেভ্য নমো নমঃ।।

অনুবাদঃ সমস্ত বৈষ্ণব ভক্তবৃন্দ, যাঁরা বাঞ্ছাকল্পতরুর মতো সকলের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করতে পারেন, যাঁরা কৃপার সাগর এবং পতিত পাবন, তাদের চরণ কমলে আমি আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি।

পঞ্চতত্ত্ব মহামন্ত্র:

(জয়) শ্রীকৃ্ষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ।
শ্রীঅদ্বৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌরভক্তবৃন্দ।।

অনুবাদঃ শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য, প্রভু নিত্যানন্দ, শ্রীঅদ্বৈত আচার্য, শ্রীগদাধর এবং শ্রীবাস আদি গৌরভক্তবৃন্দের জয় হোক।

হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র:

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।

Saturday, November 12, 2016

প্রশ্ন ও উওর (১)

আমি ও বন্ধু :::
---------------------------
আমার বন্ধু অনেক বুদ্ধিমান,অনেক জ্ঞানি।আমি মূর্খ মানুষ,কম বুঝি তাই মাঝেমাঝে আমাকে অনেক জ্ঞান দিয়ে থাকে।হঠাৎ একদিন অবুঝের মত তাকে কিছু প্রশ্ন করলাম।
১/ প্রশ্ন : আচ্ছা বন্ধু পৃথিবীতে কোন ধর্ম শ্রেষ্ঠ?
উওর : সনাতনধর্ম। এটা না বুঝার কি আছে, পৃথিবীতে একমাত্র সনাতনধর্মই শ্রেষ্ঠ।
২/ প্রশ্ন : কি ভাবে বুঝবো সনাতনধর্ম শ্রেষ্ঠ ধর্ম?
উওর : কারন সনাতনধর্ম হচ্ছে মানবতার ধর্ম।
৩/ প্রশ্ন : সনাতন ও হিন্দুর মধ্যে পার্থক্য কি?
উওর : সনাতন হচ্ছে ধর্মের নাম,আর হিন্দু হচ্ছে জাতির নাম।আমাদের ধর্মের নাম হচ্ছে সনাতনধর্ম আর জাতিতে আমরা হিন্দু।
৪/ প্রশ্ন : যারা হিন্দু না, তাদের কি হবে?
উওর : ধর্মের বিধান অনুসারে তারা নরকে যাবে।
৫/ প্রশ্ন : কিন্তু তাদেরও তো কোন ধর্ম আছে?
উওর : ভগবানের মনোনীত ধর্ম হচ্ছে একমাত্র সনাতনধর্ম। আর সব ধর্ম মানুষের সৃষ্টি।
৬/ প্রশ্ন : তবে তাদের উদ্ধারের কোন পথ নেই?
উওর : থাকবে না কেন? হিন্দু হলেই তারা স্বর্গে যেতে পারবে।শুধু সে না, তার চৌদ্দ পুরুষ স্বর্গে যাবে।
৭/ প্রশ্ন : যদি হিন্দু না হয়, তবে তাদের কি হবে?
উওর : কি আর হবে, মৃত্যুর পর যম দূতেরা তাদের নরকে নিয়ে গিয়ে, গরম তেলে চুবাবে।
৮/ প্রশ্ন : তাদের কি দূষ, তারা তো আর নিজের ইচ্ছে ঐ সব ধর্মে আসেনি?
উওর : কথা সত্য।কিন্তু তাদের তো বিবেক বুদ্ধি দেওয়া হয়েছে, বিবেক বুদ্ধি দিয়ে কেন তারা চিন্তা করলো না,, পৃথিবীতে একমাত্র সনাতনধর্মই শ্রেষ্ঠ এবং ভগবানের মনোনীত।
৯/ প্রশ্ন : তাদের জন্য কি আমাদের কিছু করার নেই?
উওর: থাকবে না কেন? সারা পৃথিবীতে সনাতনধর্মের প্রচার করো।সবাইকে হিন্দু হওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ দাও। সবাইকে সনাতনধর্মে দীক্ষিত করো, তবেই হবে।
১০/ প্রশ্ন : কিভাবে দীক্ষিত হবে?
উওর : প্রথমে মন থেকে পরমেশ্বর ভগবানের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে, বেদ গীতায় বিশ্বাস আনতে হবে,আর ভগবানের কাছে প্রার্থনা করতে হবে, হে ভগবান আজ থেকে তোমার শরণাপন্ন হলাম।তাহলেই সে হিন্দু হয়ে গেল।
১১/ প্রশ্ন : যদি মন থেকে না বলে?
উওর : ভগবানের চোখে কি ফাকি দেওয়া যায়,কপটতা করলে নিশ্চয় নরকে যাবে।
১২/ প্রশ্ন : এতে তো নামে হিন্দু হল, কাজে না?
উওর : হিন্দু হয়ে যে জন্ম গ্রহন করেছে, সে মহাভাগ্যবান।আর যে পরে হিন্দু হয়েছে সেই ভাগ্যবান।কারন হিন্দু হলে একদিন না একদিন স্বর্গে যাবেই।আর যদি নিয়মিত জপ কীর্তন করে, তবে মুক্তি লাভ করবে।
১৩/ প্রশ্ন : তোমাকে অনেক ধন্যবাদ, অনেক কিছু শিখতে পারলাম।
উওর: তোমাকেও ধন্যবাদ, মাঝেমধ্যে এসো আরো অনেককিছু শিখতে পারবে।

Friday, November 11, 2016

বেদ মাতা /sanatan dharmer prachar

বেদ মাতা :::
--------------------------
বেদকে মাতা অর্থাৎ বেদকে মায়ের সাথে তুলনা করা হয়। কারন বেদ মার মতই বিশ্বাসযোগ্য। মাকে আমরা কেমন বিশ্বাস করি, বিনা প্রশ্নে কোন রুপ সন্দেহ ছাড়াই।ঠিক তেমনি আমরা বেদকেও বিনা প্রশ্নে বিশ্বাস করতে পারি।কারন বেদ হচ্ছে পরমেশ্বর ভগবানের সরাসরি বাণী। তাই বেদ অভ্রান্ত, বেদে কোন ভুলত্রুটি থাকতে পারে না।
বেদ যে মাতার মত, এ কথা বেদেই বলা হয়েছে। অথর্ববেদ (১৯/৭১/১)
" ভক্তের উক্তি - মনের উৎসাহ দাত্রী, দ্বিজদের পবিত্রকারিণী, শ্রেষ্ঠ জ্ঞান দাত্রী বেদ মাতাকে আমি অধ্যয়ন করিয়াছি।
শ্রী ভগবানের উক্তি - আয়ু,প্রাণ,প্রজা
,পশু,কীর্তি, ব্রহ্মতেজ আমাতে অর্পণ করিয়া তুমি মুক্তি প্রাপ্ত হও।"

সমীর চন্দ্র পন্ডিত/ samir chandra pondit 

Wednesday, November 9, 2016

বাসুদেব /sanatan dharmer prachar

বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ :
---------------------------------------------------
শ্রীকৃষ্ণের আরেক নাম বাসুদেব। বাসুদেব তার আদি নাম।বাসুদেব শব্দের অর্থ হচ্ছে, " বাসু এবং দেব,বাসু যিনি সমুদয় বস্তুতে বাস করেন এবং দেব অর্থে দ্যোতনশীল, অর্থাৎ সমস্ত বস্তুকে প্রকাশ করেন।
তাৎপর্য - যিনি সর্বব্যাপক, তিনিই বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ। হরে কৃষ্ণ

সমীর চন্দ্র পন্ডিত/ samir chandra pondit