Friday, August 18, 2017

এক মাত্র সত্য সনাতন ধর্ম /sanatan dharmer prachar

একমাত্র সত্য সনাতন ধর্ম:
১/ একমাত্র সনাতন ধর্মই ভগবানের
মনোনীত। ভগবানই সনাতন ধর্মের
প্রবর্তক এবং রক্ষক। গীতা(১৪/২৭),
"আমিই সনাতন ধর্মের আশ্রয়।"
২/ এই বিশ্বের এক মাত্র শ্রীকৃষ্ণই
সৃষ্টিকর্তা, আর দ্বিতীয় কোন ঈশ্বর
নেই।চৈতন্য চরিতামৃত (১/৫/১১৮),
"একলা ঈশ্বর কৃষ্ণ আর সব ভৃত্য।" গীতা,
(৯/১৭) " আমিই এই জগতের সৃষ্টিকর্তা। "
ভাগবত,(১/৩/২৮) " শ্রীকৃষ্ণ পরমেশ্বর
ভগবান স্বয়ং। " ভাগবত,(৪/৯/৬) "
শ্রীকৃষ্ণ সর্বশক্তিমান। " সামবেদ,
(৪০/১১) " সকল জগতের উৎপত্তির
একমাত্র কারন ভগবান।"ঋগবেদ (১/২২/২০)" ওঁ তদ বিষ্ণুো" পরমেশ্বর বিষ্ণুই হচ্ছে পরম সত্য।
৩/ এক মাত্র কৃষ্ণ ভক্তরাই মুক্তি লাভ
করবে,অন্য আর কেউ নয়। গীতা (১৮/৬৬)
" সর্ব প্রকার ধর্ম পরিত্যাগ করে কেবল
আমার শরণাগত হও।আমি তোমাকে
সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করব।" ভাগবত
(২/২৫/৪১) " আমি ব্যতীত অন্য কারও শরণ
গ্রহণ করলে,সে কখনোই মুক্তি লাভ
করতে পারে না।"
৪/ যারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা
মানে না,বা তার কথা মত চলে
না,তারা ধ্বংস হয়ে যায়। গীতা
(১৮/৫৮), "তুমি যদি অহংকার বশত
আমার কথা না শোন,তা হলে বিনষ্ট
হবে।"
৫/ সকল উপাসনার মধ্যে কৃষ্ণের
উপাসনা সবচেয়ে সহজ।শুধু মন, প্রাণ
দিয়ে কৃষ্ণকে ভালবাসলেই হয়।
ভাগবত (৩/২৫/২৬) " কৃষ্ণ ভক্তির পন্থা
হচ্ছে সব চাইতে সহজ সরল পন্থা। "
৬/ এই কলিযুগে শুধু কৃষ্ণ নাম,অর্থাৎ
হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ- কীর্তন করলেই
মুক্তি;অন্য আর কোন কিছুর প্রয়োজন
নেই।চৈতন্য চরিতামৃত (২/১১/৮৮), "
কলিযুগের ধর্ম, কৃষ্ণনাম সংকীর্তন।
"ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণ, শ্রীকৃষ্ণ জন্ম খণ্ড
(১৯/১৬৫), " এই কলিযুগে কৃষ্ণনাম বিনা
আর কোন গতি নেই।"বিষ্ণু পুরাণ,
(৬/২/১৭), " এই কলিযুগে ধ্যান, যজ্ঞ বা মন্দিরে অর্চনার প্রয়োজন নেই।কেবল শ্রীকৃষ্ণের দিব্য নাম-
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে
হরে,হরে রাম হরে রাম,রাম রাম হরে হরে - কীর্তন করার ফলে পূর্ণ অাত্মোপলব্ধি করা যায়।" কলিসন্তরন উপনিষদ(১/১,২) " ষোল নাম বিশিষ্ট হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র- হরেকৃষ্ণ হরেকৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে। কলিযুগের সমস্ত পাপ ও অশুভ কলুষ বিদরিত করে।দিব্য ভগবত নামী কীর্তন ব্যতীত কলিযুগে কলুষ মুক্ত হবার আর কোন উপায় নেই।সর্ব বেদে এই সিদ্ধান্তই হয়েছে। " শেষ কথা হচ্ছে এটি চৈতন্য মহাপ্রভুর অাদেশ।
৭/ যে ব্যক্তি বৈদিক ধর্ম ত্যাগ করে,
সে নাস্তিক, অসুর, পাপিষ্ঠ, সে
অবশ্যয়ই নরকে গমন করবে।কারন, সে
বেদকে,কৃষ্ণকে অস্বীকার করল।ঋগ
বেদ,(৮/৩০/৩) " হে প্রভু,পিতা মনু হতে
আগত পথ হতে আমরা যেন কখনো ভ্রষ্ট
না হই।"মনুসংহিতা, (২/১১) "যে
বেদকে অস্বীকার করল,সে নাস্তিক।
তাকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া
উচিত।"উপনিষদ,( তৈত্তিরীয় /২৪) "
বৈদিক ধর্ম হতে বিচ্যুত হইও না।"
গীতা, (১৬/১৯) " আমার প্রতি
বিদ্বেষী নরাধমদের আমি এই
সংসারেই অশুভ আসুরী যোনিতে
অবিরত নিক্ষেপ করি।"
৮/ সবাই কৃষ্ণ ভক্ত হবে এবং সবাই
মিলেমিশে এক সাথে থাকবে।
কেউ যেন কোন ভাবে সনাতন ধর্মের
কোন রুপ ক্ষতি করতে না পারে।
গীতা, (৯/৩১)" তুমি দীপ্ত কণ্ঠে
ঘোষণা কর যে,আমার ভক্ত কখনও
বিনষ্ট হন না।" উপনিষদ,
( তৈত্তিরীয় /২৪) " আত্মরক্ষা
বিষয়ে যত্নবান হইও।"অথর্ব বেদ,
(৬/৭/২/১) " হে জনগন,তোমরা সমান
জ্ঞানযুক্ত হও,একসাথে কাজ কর এবং
তোমাদের মন এক রুপ অর্থাৎ পরস্পর
বিরুদ্ধ জ্ঞান জনক যেন না হয়।" হরে
কৃষ্ণ

সমীর চন্দ্র পণ্ডিত/ samir chandra pondit 

আমি গর্বিত সনাতনধর্মাবলম্বী / sanatan dharmer prachar

আমি গর্বিত সনাতনধর্মাবলম্বী :::

আমি সনাতন ধর্মে জন্মগ্রহণ করেছি বলে গর্ব বোধ করি। কারণ এই ধর্ম জগৎকে শিখিয়েছে  কিভাবে প্রতিটি জীবকে ভালবাসতে হয়। এই ধর্মে একটি বিষধর সাপ, এমন কি একটি পিপিলীকাও নিরাপদ । বিবেকানন্দ বলেছেন,""আমি সেই ধর্মের অন্তর্ভুক্ত বলে গৌরব বোধ করি, যে ধর্ম জগতকে শিখিয়েছে সহিষ্ণুতা ও সার্বজনীন গ্রহিষ্ণুতার আদর্শ। আমরা শুধু সব ধর্মকে সহ্যই করি নাহ,সব ধর্মকে সত্য বলে বিশ্বাস করি।আমি সেই জাতির অন্তর্ভুক্ত বলে গর্ব বোধ করি,যে জাতি ধর্মের নিপীড়িত ও শরণার্থী মানুষকে আশ্রয় দিয়ে এসেছে। ""

সনাতন ধর্ম একটি বিশাল সমুদ্র বিশেষ, এখানে সকলের স্থান রয়েছে। কে ধনী,গরীব,কে কোন বর্ণের , কে কোন ধর্মের ! সনাতন ধর্ম বলে তোমরা প্রত্যকেই সনাতন ধর্মাবলম্বী। এখানে স্বাধীন মত প্রকাশ রয়েছে, তা ফল যাই হোক। কেউ হয়তো বুদ্ধির দিক থেকে খাটো, তাই তার রুচি ও স্বভাব অনুসারে দেব-দেবী বা নিরাকার উপাসনা করে, তাই বলে সনাতন ধর্মের বাইরে নয়। সনাতন ধর্ম মানুষকে দিচ্ছে একটি  পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যাবস্থা জন্মের পূর্ব থেকে শুরু করে মৃত্যর পরবর্তী পর্যন্ত কি তার করণীয় তার জন্য রয়েছে দশবিধ সংস্কার। কিভাবে ভগবানকে লাভ করবে তার জন্য রয়েছে বর্ণাশ্রম। এছাড়া অর্থবিদ্যা, চিকিৎসা বিদ্যা, মহাকাশ বিদ্যা, উদ্ভিদ বিদ্যা, প্রানী বিদ্যা, গণিত বিদ্যা, সামাজিকতা ;এমন কোন বিষয় নেই যে যা সনাতন ধর্মে পাওয়া যায় না, কি জাগতিক, কি পারমার্থিক সকল  প্রশ্নের উত্তর সনাতন ধর্মে দেওয়া হয়েছে। সৃষ্টিকর্তা কি রকম সাকার না নিরাকার, সাকার হলে কি রকম আর নিরাকার হলে কি রকম, সাকার উপাসনার লাভ কি বা নিরাকার উপাসনার লাভ কি। আত্মা কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে, তার আয়তন কত সে কিভাবে চলাচল করে। এ রকম সব বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা যায় সনাতন ধর্মের মাধ্যমে। সনাতন ধর্ম বলে তোমরা শান্তিতে থাকো, হিংসা বিদ্বেষ ধর্মের পরিপন্থী, তাই ভগবান গীতায় (১১/৫৫) বলেছেন “ সমস্ত প্রানীর প্রতি শ্ত্রুভাব রহিত হও।“ সনাতন ধর্ম কখনো কাহারো উপর জুলুম করে নি। আগ্রাসন চালাইনি, নিজের ধর্ম জোর করে অন্যের উপর চাপিয়ে দেয় নি, বরং হাজারো নির্যাতন নিপীড়ন হওয়ার পরও মুখ বুঝে সহ্য করে আছে।
আমি সনাতন ধর্মে জন্মগ্রহন করেছি বলে গর্ব বোধ করি, তার থেকেও বেশী গর্ববোধ করি কৃষ্ণ ভক্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেছি বলে, আমার মা বাবা কৃষ্ণ ভক্ত বলে আমি সহজেই কৃষ্ণ ভক্তি শিক্ষা লাভ করেতে পেরেছি, মা বাবা প্রসাদ ভোজী হওয়ার আমি প্রতিদিন কৃষ্ণ প্রসাদ খাবার সুযোগ পেয়েছি।
পূর্বজন্মে স্বীকৃতি না থাকলে কেউ কৃষ্ণ ভক্ত হতে পারে না। যে কৃষ্ণভক্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেনি সে এক রকম দুর্ভাগা , কারণ তার  পরমেশ্বর শ্রী কৃষ্ণ কে লাভ করা অনেক কঠিন, আর যে অভক্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেও কোন ভক্তের মাধ্যমে কৃষ্ণভক্ত হয় তবে সে বাবা মার দ্বারা প্রহলাদের মত নির্যাতিত হয়।
সে যাই হোক আমাদের সন্তানরা যেন কৃষ্ণভক্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করতে পারে সে চেষ্টা করা উচিত। তারা যেন গর্বের সহিত বলতে পারে আমি কৃষ্ণভক্ত, আমি গর্বিত সনাতন ধর্মাবলম্বী।

                  জয় শ্রীকৃষ্ণ

রচনা ও সম্পাদনা :  সমীর  চন্দ্র পন্ডিত

শ্রীকৃষ্ণ কে? /sanatan dharmer prachar

ওঁ তৎ সৎ
১.শ্রীকৃষ্ণ কে ?
২.শ্রীকৃষ্ণ এত আকর্ষনীয় কেন ?
৩.শ্রীকৃষ্ণ কোথায় অবস্থান করেন ?
৪.শ্রীকৃষ্ণ কেন আবির্ভূত হন ?

১.শ্রীকৃষ্ণ কে ?
উত্তর: শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন পরমেশ্বর ভগবান, পরমব্রহ্ম ও অনাদির আদি।শ্রীকৃষ্ণই সকল সত্তার উৎস।শ্রীকৃষ্ণই আদি,মধ্য এবং অন্ত্য।সর্বকারনের পরম কারণ,শ্রীকৃষ্ণ পূর্ণ-পুর্নম।

২. শ্রীকৃষ্ণ এত আকর্ষনীয় কেন ?
উত্তর: শ্রীকৃষ্ণ সর্ব ঐশ্বর্যে পূর্ণ।তাঁর মধ্যে সকল ঐশ্বর্য ,সকল শ্রী ,সকল বীর্য ,সকল জ্ঞান, সকল যশ ,সকল বৈরাগ্য পূর্ণরূপে বিরাজমান ।

৩. শ্রীকৃষ্ণ কোথায় অবস্থান করেন ?
উত্তর: চিৎ জগতের গোলক বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং বিরাজমান।গোলক বৃন্দাবন বেষ্টনকারী অন্তহীন চিৎজগতের বৈকুন্ঠধামে শ্রীকৃষ্ণ চতুর্ভুজরূপী নারায়ন রূপে বিরাজমান।শ্রীকৃষ্ণ মহাবিষ্ণুরূপে নিজেকে বিস্তার করেন এবং এই সীমাবদ্ধ জড়ো বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টি করেন।
শ্রীকৃষ্ণ প্রতিটি ব্রহ্মান্ডে গর্ভোদকশায়ী বিষ্ণুরূপে প্রবেশ করেন এবং সেগুলিকে পরিচালনা করেন।
শ্রীকৃষ্ণ প্রতিটি জীবসত্তা , জড়বস্তু , সক্রিয় কিংবা
নিস্ক্রিয় শরীরে ক্ষীরোদকশায়ী বিষ্ণুরূপে
প্রবেশ করেন এবং তাদের প্রতিপালন করেন।

৪. শ্রীকৃষ্ণ কেন আবির্ভূত হন ?
উত্তর: যখন এবং যেখানে ধর্মীয় অনুশাসনের অধঃপতন ঘটে এবং অধর্মের অভূত্থান ঘটে ঠিক তখনি সাধুদের পরিত্রান করার জন্য এবং দুস্কৃতিকারীদের বিনাশ করার জন্য শ্রীকৃষ্ণ যুগে যুগে অবতীর্ণ হন।শ্রীকৃষ্ণ ব্রহ্মার জীবনাবসানের একদিনে একবার বা প্রতি ৮৬০ কোটি বছর পর একবার আবির্ভূত হন।