আমি গর্বিত সনাতনধর্মাবলম্বী :::
আমি সনাতন ধর্মে জন্মগ্রহণ করেছি বলে গর্ব বোধ করি। কারণ এই ধর্ম জগৎকে শিখিয়েছে কিভাবে প্রতিটি জীবকে ভালবাসতে হয়। এই ধর্মে একটি বিষধর সাপ, এমন কি একটি পিপিলীকাও নিরাপদ । বিবেকানন্দ বলেছেন,""আমি সেই ধর্মের অন্তর্ভুক্ত বলে গৌরব বোধ করি, যে ধর্ম জগতকে শিখিয়েছে সহিষ্ণুতা ও সার্বজনীন গ্রহিষ্ণুতার আদর্শ। আমরা শুধু সব ধর্মকে সহ্যই করি নাহ,সব ধর্মকে সত্য বলে বিশ্বাস করি।আমি সেই জাতির অন্তর্ভুক্ত বলে গর্ব বোধ করি,যে জাতি ধর্মের নিপীড়িত ও শরণার্থী মানুষকে আশ্রয় দিয়ে এসেছে। ""
সনাতন ধর্ম একটি বিশাল সমুদ্র বিশেষ, এখানে সকলের স্থান রয়েছে। কে ধনী,গরীব,কে কোন বর্ণের , কে কোন ধর্মের ! সনাতন ধর্ম বলে তোমরা প্রত্যকেই সনাতন ধর্মাবলম্বী। এখানে স্বাধীন মত প্রকাশ রয়েছে, তা ফল যাই হোক। কেউ হয়তো বুদ্ধির দিক থেকে খাটো, তাই তার রুচি ও স্বভাব অনুসারে দেব-দেবী বা নিরাকার উপাসনা করে, তাই বলে সনাতন ধর্মের বাইরে নয়। সনাতন ধর্ম মানুষকে দিচ্ছে একটি পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যাবস্থা জন্মের পূর্ব থেকে শুরু করে মৃত্যর পরবর্তী পর্যন্ত কি তার করণীয় তার জন্য রয়েছে দশবিধ সংস্কার। কিভাবে ভগবানকে লাভ করবে তার জন্য রয়েছে বর্ণাশ্রম। এছাড়া অর্থবিদ্যা, চিকিৎসা বিদ্যা, মহাকাশ বিদ্যা, উদ্ভিদ বিদ্যা, প্রানী বিদ্যা, গণিত বিদ্যা, সামাজিকতা ;এমন কোন বিষয় নেই যে যা সনাতন ধর্মে পাওয়া যায় না, কি জাগতিক, কি পারমার্থিক সকল প্রশ্নের উত্তর সনাতন ধর্মে দেওয়া হয়েছে। সৃষ্টিকর্তা কি রকম সাকার না নিরাকার, সাকার হলে কি রকম আর নিরাকার হলে কি রকম, সাকার উপাসনার লাভ কি বা নিরাকার উপাসনার লাভ কি। আত্মা কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে, তার আয়তন কত সে কিভাবে চলাচল করে। এ রকম সব বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা যায় সনাতন ধর্মের মাধ্যমে। সনাতন ধর্ম বলে তোমরা শান্তিতে থাকো, হিংসা বিদ্বেষ ধর্মের পরিপন্থী, তাই ভগবান গীতায় (১১/৫৫) বলেছেন “ সমস্ত প্রানীর প্রতি শ্ত্রুভাব রহিত হও।“ সনাতন ধর্ম কখনো কাহারো উপর জুলুম করে নি। আগ্রাসন চালাইনি, নিজের ধর্ম জোর করে অন্যের উপর চাপিয়ে দেয় নি, বরং হাজারো নির্যাতন নিপীড়ন হওয়ার পরও মুখ বুঝে সহ্য করে আছে।
আমি সনাতন ধর্মে জন্মগ্রহন করেছি বলে গর্ব বোধ করি, তার থেকেও বেশী গর্ববোধ করি কৃষ্ণ ভক্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেছি বলে, আমার মা বাবা কৃষ্ণ ভক্ত বলে আমি সহজেই কৃষ্ণ ভক্তি শিক্ষা লাভ করেতে পেরেছি, মা বাবা প্রসাদ ভোজী হওয়ার আমি প্রতিদিন কৃষ্ণ প্রসাদ খাবার সুযোগ পেয়েছি।
পূর্বজন্মে স্বীকৃতি না থাকলে কেউ কৃষ্ণ ভক্ত হতে পারে না। যে কৃষ্ণভক্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেনি সে এক রকম দুর্ভাগা , কারণ তার পরমেশ্বর শ্রী কৃষ্ণ কে লাভ করা অনেক কঠিন, আর যে অভক্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেও কোন ভক্তের মাধ্যমে কৃষ্ণভক্ত হয় তবে সে বাবা মার দ্বারা প্রহলাদের মত নির্যাতিত হয়।
সে যাই হোক আমাদের সন্তানরা যেন কৃষ্ণভক্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করতে পারে সে চেষ্টা করা উচিত। তারা যেন গর্বের সহিত বলতে পারে আমি কৃষ্ণভক্ত, আমি গর্বিত সনাতন ধর্মাবলম্বী।
জয় শ্রীকৃষ্ণ
রচনা ও সম্পাদনা : সমীর চন্দ্র পন্ডিত
No comments:
Post a Comment