একমাত্র সত্য সনাতন ধর্ম:
১/ একমাত্র সনাতন ধর্মই ভগবানের
মনোনীত। ভগবানই সনাতন ধর্মের
প্রবর্তক এবং রক্ষক। গীতা(১৪/২৭),
"আমিই সনাতন ধর্মের আশ্রয়।"
২/ এই বিশ্বের এক মাত্র শ্রীকৃষ্ণই
সৃষ্টিকর্তা, আর দ্বিতীয় কোন ঈশ্বর
নেই।চৈতন্য চরিতামৃত (১/৫/১১৮),
"একলা ঈশ্বর কৃষ্ণ আর সব ভৃত্য।" গীতা,
(৯/১৭) " আমিই এই জগতের সৃষ্টিকর্তা। "
ভাগবত,(১/৩/২৮) " শ্রীকৃষ্ণ পরমেশ্বর
ভগবান স্বয়ং। " ভাগবত,(৪/৯/৬) "
শ্রীকৃষ্ণ সর্বশক্তিমান। " সামবেদ,
(৪০/১১) " সকল জগতের উৎপত্তির
একমাত্র কারন ভগবান।"ঋগবেদ (১/২২/২০)" ওঁ তদ বিষ্ণুো" পরমেশ্বর বিষ্ণুই হচ্ছে পরম সত্য।
৩/ এক মাত্র কৃষ্ণ ভক্তরাই মুক্তি লাভ
করবে,অন্য আর কেউ নয়। গীতা (১৮/৬৬)
" সর্ব প্রকার ধর্ম পরিত্যাগ করে কেবল
আমার শরণাগত হও।আমি তোমাকে
সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করব।" ভাগবত
(২/২৫/৪১) " আমি ব্যতীত অন্য কারও শরণ
গ্রহণ করলে,সে কখনোই মুক্তি লাভ
করতে পারে না।"
৪/ যারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা
মানে না,বা তার কথা মত চলে
না,তারা ধ্বংস হয়ে যায়। গীতা
(১৮/৫৮), "তুমি যদি অহংকার বশত
আমার কথা না শোন,তা হলে বিনষ্ট
হবে।"
৫/ সকল উপাসনার মধ্যে কৃষ্ণের
উপাসনা সবচেয়ে সহজ।শুধু মন, প্রাণ
দিয়ে কৃষ্ণকে ভালবাসলেই হয়।
ভাগবত (৩/২৫/২৬) " কৃষ্ণ ভক্তির পন্থা
হচ্ছে সব চাইতে সহজ সরল পন্থা। "
৬/ এই কলিযুগে শুধু কৃষ্ণ নাম,অর্থাৎ
হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ- কীর্তন করলেই
মুক্তি;অন্য আর কোন কিছুর প্রয়োজন
নেই।চৈতন্য চরিতামৃত (২/১১/৮৮), "
কলিযুগের ধর্ম, কৃষ্ণনাম সংকীর্তন।
"ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণ, শ্রীকৃষ্ণ জন্ম খণ্ড
(১৯/১৬৫), " এই কলিযুগে কৃষ্ণনাম বিনা
আর কোন গতি নেই।"বিষ্ণু পুরাণ,
(৬/২/১৭), " এই কলিযুগে ধ্যান, যজ্ঞ বা মন্দিরে অর্চনার প্রয়োজন নেই।কেবল শ্রীকৃষ্ণের দিব্য নাম-
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে
হরে,হরে রাম হরে রাম,রাম রাম হরে হরে - কীর্তন করার ফলে পূর্ণ অাত্মোপলব্ধি করা যায়।" কলিসন্তরন উপনিষদ(১/১,২) " ষোল নাম বিশিষ্ট হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র- হরেকৃষ্ণ হরেকৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে। কলিযুগের সমস্ত পাপ ও অশুভ কলুষ বিদরিত করে।দিব্য ভগবত নামী কীর্তন ব্যতীত কলিযুগে কলুষ মুক্ত হবার আর কোন উপায় নেই।সর্ব বেদে এই সিদ্ধান্তই হয়েছে। " শেষ কথা হচ্ছে এটি চৈতন্য মহাপ্রভুর অাদেশ।
৭/ যে ব্যক্তি বৈদিক ধর্ম ত্যাগ করে,
সে নাস্তিক, অসুর, পাপিষ্ঠ, সে
অবশ্যয়ই নরকে গমন করবে।কারন, সে
বেদকে,কৃষ্ণকে অস্বীকার করল।ঋগ
বেদ,(৮/৩০/৩) " হে প্রভু,পিতা মনু হতে
আগত পথ হতে আমরা যেন কখনো ভ্রষ্ট
না হই।"মনুসংহিতা, (২/১১) "যে
বেদকে অস্বীকার করল,সে নাস্তিক।
তাকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া
উচিত।"উপনিষদ,( তৈত্তিরীয় /২৪) "
বৈদিক ধর্ম হতে বিচ্যুত হইও না।"
গীতা, (১৬/১৯) " আমার প্রতি
বিদ্বেষী নরাধমদের আমি এই
সংসারেই অশুভ আসুরী যোনিতে
অবিরত নিক্ষেপ করি।"
৮/ সবাই কৃষ্ণ ভক্ত হবে এবং সবাই
মিলেমিশে এক সাথে থাকবে।
কেউ যেন কোন ভাবে সনাতন ধর্মের
কোন রুপ ক্ষতি করতে না পারে।
গীতা, (৯/৩১)" তুমি দীপ্ত কণ্ঠে
ঘোষণা কর যে,আমার ভক্ত কখনও
বিনষ্ট হন না।" উপনিষদ,
( তৈত্তিরীয় /২৪) " আত্মরক্ষা
বিষয়ে যত্নবান হইও।"অথর্ব বেদ,
(৬/৭/২/১) " হে জনগন,তোমরা সমান
জ্ঞানযুক্ত হও,একসাথে কাজ কর এবং
তোমাদের মন এক রুপ অর্থাৎ পরস্পর
বিরুদ্ধ জ্ঞান জনক যেন না হয়।" হরে
কৃষ্ণ
সমীর চন্দ্র পণ্ডিত/ samir chandra pondit
No comments:
Post a Comment