Friday, November 3, 2017

রক্ষাকর্তা / সনাতন ধর্মের প্রচার। / sanatan dharmer prochar

বিপদে কৃষ্ণ ভিন্ন অন্য কেউ রক্ষা করতে পারে না।
( বিষ্ণু পুরাণ, ১/৮/৭০)

তাৎপর্য : আমরা যখন কোন বিপদে পড়ি, তখন কাকে স্মরণ করি? যে আমাদের সাহায্য করতে পারবে।বিপদের মুহূর্তে যে আমাদের সাহায্য করতে পারবে না,তাকে স্মরণ করে কোন লাভ হয়?শাস্ত্রে বলা হয়েছে, আমাদের বিপদ থেকে প্রকৃত পক্ষে রক্ষা করতে পারে একমাত্র ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।তাই কৃষ্ণ ভিন্ন অন্য কেউর শরণাপন্ন হতে হয় না।রক্ষা করার মালিক একমাত্র কৃষ্ণই, দ্বিতীয় কেউ নেই।তাই সব সময় হরেকৃষ্ণ। হরেকৃষ্ণ

by-  সমীর চন্দ্র পন্ডিত

প্রশ্ন - উওর / সনাতন ধর্মের প্রচার / sanatan dharmer procher

প্রশ্ন ও উত্তর :

১/  প্রশ্ন : আমাদের সকলের সৃষ্টিকর্তা কে?
উত্তর: পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।

২/  প্রশ্ন : ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কোথায় থাকেন।
উত্তর : তিনি সব জায়গায় থাকেন,আবার সবার হৃদয়ও থাকেন।কিন্তু তার প্রকৃত আবাস্থল চিন্ময় জগতের গোলক বৃন্দাবনে।

৩/  প্রশ্ন : তিনি কেন আমাদের তৈরি করেছেন।
উওর : আমরা যেন সব সময় কৃষ্ণ নাম করি,কৃষ্ণের সেবা করি, এজন্য আমাদের তৈরি করেছেন।

৪/ প্রশ্ন : যে মানুষেরা কৃষ্ণ নাম নেয় না, তাদের গতি কি হবে।
উত্তর: যে মানুষেরা কৃষ্ণ নাম নেয় না তারা দূর্ভাগা, কারন তাদের মুক্তি লাভ হবে না, আর কৃষ্ণ নাম না নেওয়ার কারনে নরকে গিয়ে কষ্ট ভোগ করবে।

৫/  প্রশ্ন : বেদ,গীতা কার বাণী।
উত্তর : বেদ,গীতা সৃষ্টিকর্তা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী।

৬/  প্রশ্ন : আমাদের সবার প্রকৃত ধর্মের নাম কি?
উত্তর : সনাতনধর্ম।

৭/  প্রশ্ন : এই ধর্ম কে প্রবর্তন করেছেন?
উত্তর : স্বয়ং ভগবান এই ধর্ম প্রবর্তন করেছেন।

৮/  প্রশ্ন : ভগবানের মনোনীত ধর্ম কোনটা।
উত্তর : সনাতনধর্মই ভগবানের মনোনীত ধর্ম ( গীতা,১৪/২৭)।

৯/ প্রশ্ন : কি ভাবে শান্তি লাভ করা যায়?
উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকে ভালবেসে,নিয়মিত হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ কীর্তন করলেই প্রকৃত শান্তি লাভ করা যায়।হরে কৃষ্ণ

by -  সমীর চন্দ্র পন্ডিত

Friday, October 6, 2017

প্রচারের গ্রন্থ /sanatan dharmer prachar

সনাতন ধর্মের প্রচার " এর জন্য প্রত্যেকের কাছে এই গ্রন্থ গুলো রাখা উচিত।নিজে পড়ুন ও অন্যদেরও পড়তে উৎসাহিত করুন

Tuesday, September 26, 2017

মা দূর্গা /sanatan dharmer prachar

মা দূর্গা :

জগজ্জননী মা আমার।
মনে করুন মা দুই জন,এক জন গর্ভধারিণী মা অপরজন দূর্গা মা।আপনি কি জানেন কি করলে মা খুসি হয়,কি ভাবে মার সেবা করলে অনেক পূর্ণ হয়,কি কি করলে মা আমাদের অনেক আশীর্বাদ করেন? জানেন না তবে আজই শুরু করুন।প্রথমে নিজ মার সাথে করবেন,তারপর মা দূর্গার সামনে করবেন।ভুলেও কিন্তু নিজ মাকে বাদ দিয়ে মা দূর্গার সামনে করতে যাবেন না,তাহলে কিন্তু মা দূর্গা রাগ করবেন।তখন কিন্তু আমাদের অনেক ক্ষতি হবে।
আমরা তো এখন বুঝে গেলাম,প্রথমে নিজ মা,তারপর মা দূর্গা। এখন দেখব পূর্ণ লাভ করতে কি কি করতে হবে।সবাই অভ্যাস করা শুরু করে দেন,প্রথমে নিজ মা।

১/ প্রতিদিন মার সামনে,অর্থাৎ মাকে দেখিয়ে দেখিয়ে মদ, গাজা,সিগারেট খাওয়া শুরু করে দেন।শুনেছি এতে নাকি অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল লাভ হয়।

২/ মার সামনে অর্ধ উলঙ্গ হয়ে অর্থাৎ ছোট কাপড় বা টাইট কাপড় পড়ে ফোল সাউন্ডে হিন্দি গান দিয়ে নাচানাচি শুরু করে দেন।যদি অসভ্যের মত নাচতে পারেন,তবে আরো ভাল।শুনেছি এ রকম ভাবে মার সামনে ড্যান্স দিলে মা অনেক খুসি হন,অর্থাৎ স্বর্গ নিশ্চিত।

৩/ আপনেরা জেনে খুসি হবেন যে,প্রত্যেকের মা উচ্চ ভলিউমে হিন্দি গান শুনতে খুব ভালবাসেন। তাই মার সামনে বেশী বেশী হিন্দি গান বাজান।

৪/ অনেক সময় বড়রা হিন্দি গান বা অভক্তি মূলক গান বাজাতে নিষেধ করে।তাদের মুখের উপর বলে দেন,তরা মূর্খ, তদের বয়স হয়েছে তার সাথে বুদ্ধিও নষ্ট হয়েছে। হিন্দি গান ছাড়া মার পূজা হয় কোন দিন শুনেছেন।মা আর আগের দিনের নয়,সে এখন আধুনিক।সাউন্ড বক্স না হলে, আমরা পূজাই করবো না।

৫/ আরতির সময় বড় বড় মেয়েদের, ছোট ছোট কাপড় পড়ে নাচ দেখতে,মা খুব ভালবাসেন।এই দেহ দেখিয়ে নাচ,যত পুরুষদের অানন্দ দেয়,বিশেষ করে অহিন্দুদের, মা তত বেশী খুসি হন।

৬/ আপনেরা হয়তো লক্ষ্য করেছেন,প্রত্যেকের মা পশুর রক্ত খেতে খুব ভালবাসেন।তাই মার সামনে বেশী বেশী করে বলি দিবেন।কেউ বাধা দিলে শুনবেন না।মনে রাখবেন মার কিন্তু রক্ত ছাড়া তৃষ্ণা মিটে না।এটা তো সাধারণ জ্ঞান, আমরা জল পান করি আর মা রক্ত পান করেন।

নিশ্চয় মনে মনে ভাবতেছেন, এসব আচরন কি নিজ মার সাথে করা যায়।কেন যাবে না,এগুলো কি আমরা মা দূর্গার সাথে করি না।যিনি এই জগতের মা, তার সামনে করতে পারি,তাহলে নিজ মার সাথে পারবো না কেন? নাকি শুধু মাটির প্রতিমা,তাই কোন লজ্জা করে না।তাহলে এই মাটির পূজা করে কি লাভ এত খরচ করে,তার থেকে ব্যাংকে ডিপোজিট করি,ভবিষ্যৎকালে কাজে লাগবে।
কি রকম নির্লজ্জ, ছোটলোক আমরা। আমরা নিজ মার সামনে, নেশা করতে,অসভ্য পোশাক পড়ে নাচানাচি করতে লজ্জা পাই,কিন্তু যে বিশ্বজগতের মা,এক বছর পর যাকে ডেকে নিয়ে আসি,তার সামনে অসভ্যতা করতে এত টুকু লজ্জা পাই না।

পাপ কি? যাহা শাস্ত্রে নিষেধ করা আছে,তাহা করাই পাপ।তাহলে ধর্মের নাম করে, পাপ করাকে কি বলে, মহাপাপ। আগ্গে হা,আমরা এখন ধর্ম করার নামে পাপ করা শুরু করেছি,এমনিতেই কত পাপ করি,আবার ধর্মের নামেও পাপ করা শুরু করেছি।

তিন চারশত বছর পূর্ব থেকে,আস্তে আস্তে ব্যাপক ভাবে দূর্গা পূজা শুরু হয়েছে। আগে কিন্তু এই রকম অসভ্যতা ছিল না।কিছু দিন ধরে, এই অপসংস্কৃতি ডুকেছে। তাই যে ভাবে ডুকেছে, সেভাবেই বের করে দিন।

কি লজ্জার বিষয়,যখন অহিন্দুরা বলবে,তদের ধর্মে হিন্দি গান আছে,ছেলে মেয়েদের অসভ্য ভাবে নাচানাচি আছে,তখন ওদের কিভাবে সনাতন ধর্মের মাহাত্ম্য বুঝাবো।এ রকম আচরন করলে, আমাদের ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হবেতো দূরের কথা,উল্টো আরো ঘৃণা করবে।

তাহলে আমাদের কি করতে হবে, এটাই ভাববার বিষয় আসলে আমাদের কি করা উচিত।আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান এমনভাবে করতে হবে, যাতে কোন পাপ কর্ম না থাকে।
যেমন-

১/ যে কোন পূজা পবিত্র মনে করতে হবে।মন থাকবে সাত্ত্বিকতার ভাব,পূজার পরিবেশও সাত্ত্বিক ভাবে গড়ে তোলতে হবে।অধর্মের যেন কোন স্থান না হয়।

২/ কোন পূজায় হিন্দি গান অর্থাৎ অভক্তি মূলক গান বাজানো যাবে না।যদি গান বাজানোর ইচ্ছে থাকে, তবে হরে কৃষ্ণ কীর্তন, ভক্তিমূলক গান বা শ্যামা সঙ্গীত বাজানো যেতে পারে,এর বাহিরে অন্য কিছু নয়।

৩/ অর্ধ উলঙ্গ অর্থাৎ ছোট জামা বা টাইট জামা পড়া যাবে না , বিশেষ করে মেয়েদের।সব সময় লক্ষ রাখতে হবে পোশাকে যেন অসভ্যতা প্রকাশ না পায়।

৪/ পূজায় আরতী হয়, শাস্ত্রীয় নৃত্য হতে পারে,কিন্তু কোন ডিজে ড্যান্স, হিন্দি গানের সাথে অশ্লীল নাচ,এসব আচরন করা যাবে না।

৫/ মা দূর্গা ভগবানের শক্তি, তাই ভগবানের মত সম্মান করতে হবে।মার সামনে কোন রুপ অসভ্যতা করা যাবে না।

৬/ মার সামনে,বিশেষ করে পূজার কয়দিন,যে কোন প্রকার নেশা ও আমিষ গ্রহন করা যাবে না।

৭/ বিভিন্ন বাজে খরচ বাদ দিয়ে,সনাতন ধর্ম প্রচারের জন্য বা গীতা বা এই জাতীয় ভক্তি মূলক গ্রন্থ বা গরিব হিন্দুদের দান করা উচিত।

৮ আমাদের ধর্ম,আমাদেরই রক্ষা করতে হবে,তাই কোন অশোভন আচরন করবেন না।
আমরা যেন গর্বের সহিত বলতে পারি,আমরা গর্বিত, সনাতনধর্মে জন্মগ্রহণ করার জন্য।সনাতনধর্মই পৃথিবীতে শান্তি কামনা করে,তাই সবাই সুখি হউক,শান্তি লাভ করুক,পূজার আনন্দে সকল মানুষের মন ভরে থাকুক।

          জয় মা দূর্গা

   সমীর চন্দ্র পন্ডিত

Tuesday, September 19, 2017

শ্রীকৃষ্ণের ৬৪ টি গুণ /sanatan dharmer prachar

শ্রীল রূপ-গোস্বামী নানা শাস্ত্র
বিচার করে শ্রীকৃষ্ণের নিম্নোক্ত
গুণাবলী উল্লেখ করেন –

ভগবানের ৬৪ টি গুন রয়েছে, সে গুলো হল :

১) তাঁর সমস্ত শরীর অপূর্ব মাধুর্য মণ্ডিত

২)সমস্ত শুভ লক্ষন যুক্ত

৩)অত্যন্ত মনোরম

৪)জ্যোতির্ময়

৫)বলবান

৬) নিত্য নব-যৌবনসম্পন্ন

৭) সমস্ত-ভাষায় পারদর্শী

৮)সত্যবাদি

৯) প্রিয়ভাষী

১০) বাকপটুঁ

১১) পরম পণ্ডিত

১২) পরম বুদ্ধিমান

১৩) অপূর্ব প্রতিভাশালী

১৪) বিদগ্ধ শিল্পকলায় পারদর্শী

১৫)অত্যন্ত চতুর

১৬) পরম দক্ষ

১৭) কৃতজ্ঞ

১৮) দৃঢ় প্রতিজ্ঞ

১৯) স্থান ,কাল ও পাত্র সম্পর্কে বিচার করতে অত্যন্ত সুদক্ষ

২০)বৈদিক তত্ত্বজ্ঞান এর পরিপ্রেক্ষিতে দর্শন করতে আর উপদেশ দিতে অত্যন্ত পারদর্শী

২১)পবিত্র

২২ ) সংযত

২৩)অবিচলিত

২৪) জিতেন্দ্রিয়

২৫)ক্ষমাশীল

২৬) গম্ভীর

২৭)আত্ম-তৃপ্ত

২৮)সমদৃষ্টি সম্পন্ন

২৯) উদার

৩০) ধার্মিক

৩১)বীর

৩২) কৃপাময়

৩৩ )শ্রদ্ধাবান

৩৪) বিনীত

৩৫) বদান্য

৩৬)লজ্জাশীল

৩৭) শরণাগত জীব-এর রক্ষক

৩৮)সুখী

৩৯) ভক্তদের হিতৈষী

৪০) প্রেমের বশীভূত

৪১) সর্বমঙ্গলময়

৪২) সর্বশক্তিমান

৪৩) পরম যশস্বী

৪৪) ভক্তবৎসল

৪৫) সমস্ত স্ত্রীলোকদের কাছে অতান্ত আকর্ষনীয়

৪৬) সকলের আরাধ্য

৪৭) জনপ্রিয়

৪৮) সমস্ত ঐশ্বর্য-এর অধিকারী

৪৯) সকলের মাননীয়

৫০) পরম নিয়ন্তা

উল্লেখিত ৫০ টি গুন ছাড়া ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরও ৫ টি অতিরিক্ত গুন
আছে যা কিছুটা ব্রহ্মা ও শিব এর
মাঝেও আছে :

৫১)অপরিবর্তনশীল

৫২)সর্বজ্ঞ

৫৩) চির নবীন

৫৪) সৎ ,চিৎ ও আনন্দময়

৫৫) সব রকম যোগ সিদ্ধি এর অধিকারী

শ্রীকৃষ্ণের আরও ৫ টি গুন আছে যা নারায়ণ বিগ্রহে প্রকাশিত হয়ঃ

৫৬) অচিন্ত্য শক্তিসম্পন্ন

৫৭) তার দেহ থেকে অনন্ত কোটি ব্রহ্মাণ্ড প্রকাশিত হয়

৫৮) তিনি সমস্ত অবতারের আদি উৎস

৫৯) তাঁর দ্বারা হত শত্রুদের তিনি মুক্তিদান করেন

৬০) মুক্ত আত্মাদের তিনি আকর্ষন করেন

এই গুন গুলো ছাড়া কৃষ্ণের আরও ৪ টি গুণ
আছে যা আর কারো নেই এমন কি
নারায়ণ এরও নেই সেগুলা হল :

৬১)তিনি নানা রকম অদ্ভুদ লীলা বিলাস করেন, বিশেষ করে তাঁর বাল্য লীলা

৬২) তিনি অপূর্ব ভগবৎ প্রেম মণ্ডিত ভক্ত পরিবৃত

৬৩) তিনি তাঁর বাঁশি বাজিয়ে সমস্ত জীবকে আকর্ষণ করতে পারেন

৬৪) তিনি অতুলনীয় সৌন্দয মণ্ডিত

শ্রীকৃষ্ণ এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের ঈশ্বর। তিনি সর্বশক্তিমান।তার উপরে কেউ নেই। তিনি অনন্ত গুণের আধার।এই ৬৪ টি গুণের মধ্যেই অনন্ত গুণ রয়েছে।   তিনি আমাদের সবার আরাধ্য। হরে কৃষ্ণ

সমীর চন্দ্র পন্ডিত/ samir chandra pondit

a

দূর্গা পুজা /sanatan dharmer prachar

গোপীদের দূর্গা / কাত্যায়নী পূজা :

বৃন্দাবনে সমস্ত গোপীরা কাত্যায়নী পূজা করেছিলেন।কেন দূর্গা পূজা করেছিলেন,আগে জানবো মা দূর্গা কে? মা দূর্গা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অন্তরঙ্গা ও বহিরঙ্গা শক্তি। আবার অন্তরঙ্গাকে যোগমায়া বলে আর বহিরঙ্গাকে মহামায়া বলে।মহামায়ার পূজা করলে জড়জগতে সম্পদ বৃদ্ধি পায় আর যোগমায়ার পূজা করলে কৃষ্ণভক্তি বৃদ্ধি পায়,ফলে সহেজেই কৃষ্ণকে লাভ করা যায়।
গোপীরা শ্রেষ্ঠ ভক্ত,তাই তারা যোগমায়ার পূজা করেছিলেন, যেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে সহেজেই লাভ করতে পারেন।
জড়জগতের সম্পদ ক্ষণস্থায়ী , আজ আছে কাল নেই আবার মৃত্যুর সাথে সাথে সব শেষ হয়ে যাবে।কিন্তু কৃষ্ণভক্তি হল মুক্তির পথ,আর মুক্তি লাভই হচ্ছে মানব জীবনের সার্থকতা।
তাই আমরা সবাই মা দূর্গার কাছে প্রার্থনা করবো,মা আমাকে শক্তি দাও,আমাকে বুদ্ধি দাও, আমাকে কৃষ্ণভক্তি দাও, যার ফলে আমি যেন সহেজেই কৃষ্ণকে লাভ করতে পারি। হরে কৃষ্ণ

সমীর চন্দ্র পন্ডিত/ samir chandra pondit

Wednesday, September 13, 2017

Tuesday, September 12, 2017

সাকার - নিরাকার,সনাতন ধর্ম শিক্ষা /sanatan dharmer prachar


               সনাতন ধর্ম শিক্ষা
---------------------------------------------
                     দ্বিতীয় অধ্যায়

                 সাকার - নিরাকার  ::

প্রশ্ন: ১। ভগবান সাকার , নাকি নিরাকার?

উত্তর : ভগবান পূর্ণ, স্বয়ংসম্পূর্ণ, সর্বশক্তিমান, তাই ভগবান সাকার এবং নিরাকার উভয়ই। 

প্রশ্ন : ২। অনেকে যে বলে ঈশ্বর নিরাকার?

উত্তর : ভগবান সর্বশক্তিমান, তাই তিনি সাকার এবং নিরাকার উভয়ই। তিনি যদি নিরাকার হন, তবে কি তিনি সাকার হতে পারেন না? আবার তিনি যদি সাকার হন, তবে কি তিনি নিরাকার হতে পারেন না? যদি না পারেন, তবে তিনি সর্বশক্তিমান হতে পারেন না। ভগবান পূর্ণ, স্বয়ংসম্পূর্ণ, তাই তিনি অবশ্যয়ই সাকার এবং নিরাকার উভয়ই এবং একই সাথে।  

প্রশ্ন: ৩। সাকার -নিরাকারের পার্থক্য কী?

উত্তর : সাকার হল ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং নিরাকার নির্বিশেষ ব্রহ্ম হলো, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অঙ্গজ্যোতি। নিরাকারকে ব্রহ্ম বা ব্রহ্ম জ্যোতি বলা হয়। উৎস ছাড়া কোন জ্যোতি বা আলোর সৃষ্টি হয় না। দিনের আলোর উৎস হচ্ছে সূর্য। তেমনি ব্রহ্ম জ্যোতির উৎস হচ্ছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, সূর্য এবং সূর্যের আলো। সূর্য সাকার এবং সূর্যের আলো নিরাকার। দুটি আলাদা নয় একইসাথে সব সময় থাকে, তেমনি - শ্রীকৃষ্ণ সাকার এবং তার দেহের অঙ্গজ্যোতি ব্রহ্ম হচ্ছে নিরাকার  । সাকার - নিরাকার একই সাথে সব সময় বর্তমান। গীতায় (১৪/২৭) ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, “আমিই নির্বিশেষ ব্রহ্মের প্রতিষ্ঠা বা আশ্রয়।”

প্রশ্ন: ৪। ভগবান কত রুপে বিরাজমান?

উত্তর : ভাগবত অনুসারে ভগবান তিনটি রুপে বিরাজমান- ব্রহ্ম, পরমাত্মা এবং ভগবান। ব্রহ্ম হচ্ছে নির্বিশেষ ব্রহ্ম জ্যোতি, যা পরম পুরুষ পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অঙ্গজ্যোতি। এবং পরমাত্মা হচ্ছে প্রতি স্থানে বিরাজিত ভগবানের সর্বব্যাপী অংশ প্রকাশ, যিনি প্রতিটি পরমানুতে বিদ্যমান এবং একই ভাবে প্রতিটি জীবের হৃদয়েও বিরাজমান।  

প্রশ্ন: ৫। পরমাত্মা কি? 

উত্তর : পরমাত্মা হচ্ছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অংশ প্রকাশ, তা হল চতুর্ভূজ বিষ্ণু মূর্তি।

   প্রশ্ন: ৬। বিষ্ণু কে?  

উত্তর : বিষ্ণু হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের স্বাংশ প্রকাশ। কৃষ্ণ ও বিষ্ণু অভিন্ন তবু শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছে মূল বা আদি। বিষ্ণু হচ্ছে অংশ কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ পূর্ণ। কৃষ্ণ, বিষ্ণু বা নারায়ন রুপে জগৎ পালন করেন।

প্রশ্ন:৭। আমাদের সাকার উপাসনা করা উচিত নাকি নিরাকার উপাসনা করা উচিত?

উত্তর: কখনোই নিরাকার বা শূন্যের উপাসনা করা যায় না। কোন চিহ্ন, রুপ বা অন্য কোন কিছু মাথায় আসবেই। আর সাকার উপাসনা হচ্ছে ভগবানের সাথে সরসারি সম্পর্কিত। আমাদের কোনটা করা উচিত, তা জানার জন্য অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসা করেছিল, (গীতা,১২/১) ‘তোমার আরাধনা করা উচিত, নাকি নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনা করা উচিত। তা শুনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ উত্তর দিলেন, গীতা (১২/২) যারা তাদের মনকে আমার সবিশেষ রুপে নিবিষ্ট করেন এবং অপ্রকৃত শ্রদ্ধা সহকারে নিরন্তর আমার উপাসনা করেন, আমার মতে তারাই সর্বশ্রেষ্ঠ যোগী।’
অতএব, আমাদের সবার উচিত সাকার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উপাসনা করা।

প্রশ্ন: ৮। নিরাকার উপাসনা সম্পর্কে ভগবান কি বলেছেন।

উত্তর : গীতায় (১২/৫), ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন “যাদের মন ভগবানের অব্যক্ত নির্বিশেষ রুপের প্রতি আসক্ত তাদের ক্লেশ অধিকতর। কারণ অব্যক্তের উপাসনার ফলে দেহধারী জীবদের কেবল দুঃখই লাভ হয়।”

ভগবান নিরাকার উপাসনা নিষেধ করেছেন, এর কারণ হল- নিরাকার উপাসনা করা কষ্ট কর, সঠিক ভাবে অনেকেই পারে না। চোখ বন্ধ করে নিরাকার উপাসনা করতে গেলে, গাছ-পালা, ফুল-ফল, এগুলো মাথায় এসে পড়বে। সঠিক ভাবে উপাসনা হবে না। আবার কেউ যদি সঠিক ভাবে করে মুক্তিলাভ করে তবে পরমপুরুষ ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে পাবে না। ব্রহ্ম জ্যোতিতে ভেসে বেড়াবে। তাই প্রকৃত আনন্দ সে পাবে না। আবার সে বিরক্ত হয়ে জড়জগতে চলে আসতে পারে (ভাগবত, ১০/২/৩২) তাই এর ফলও কষ্টকর। অপর দিকে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উপাসনা করলে আর কোন দিন ফিরে আসতে হবে না (গীতা, ৮/২১)।

প্রশ্ন: ৯। অনেকে সাকার বা মূর্তি পূজা করলে নিন্দা করে কেন?

উত্তর: কেউ কি প্রকৃত পক্ষে নিরাকার উপাসনা করতে পারে? কিছু একটা কল্পনা করেই নেই। নিরাকার বাদীরা অনেক সময় বলে, এই মূর্তি পূজা করে লাভ কি? এর তো কোন ক্ষমতা নেই, নিজের গায়ে মশা পড়লেও তো তাড়াতে পারবে না। যারা এই ধরনের কথা বলে, তাদেরকে যদি বলা হয়, ঘরে তোমার বাবা-মার ছবি আছে, সেই ছবিতে থু থু দাও। তখন সে শুনেই রাগ করবে। ছবিতে কিন্তু তার বাবা স্বয়ং নেই, বাবার রক্ত-মাংসও নেই তবুও সে এই কাজ করবে না। কারণ সে তার বাবাকে ভালবাসে, শ্রদ্ধা করে। আর ভগবানতো সর্বত্র আছেন, তাহলে তার প্রতিচ্ছবি বা বিগ্রহের মধ্যে কি তিনি থাকতে পারে না? ভগবানের বিগ্রহের পূজাকে মূর্তি পূজা মনে করা উচিত নয়। বিগ্রহ হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের অনুমোদিত, যা শাস্ত্র নির্ধারিত উপাদানে নির্মিত এবং শুদ্ধ ভক্ত দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। এই বিগ্রহ ভগবানের অনুমোদিত, এই মাধ্যমে ভগবান আমাদের প্রেম ভক্তি গ্রহণ করেন। যেমন- রাস্তায় অনেক ডাক বাক্স রয়েছে তার একটির মধ্যে চিঠি ফেললে, গন্তব্যে চলে যায়। কারণ তা পোস্ট অফিসের অনুমোদিত। তাই বলে যে কোন বাক্সে চিঠি ফেললে কাজ হবে না।

               

               জয় শ্রীকৃষ্ণ

সমীর চন্দ্র পন্ডিত/ samir chandra pondit 

                  

ঈশ্বর প্রাপ্তির পথ /sanatan dharmer prachar

আসুন জীবন কেমন হলে আমাদের
ঈশ্বর প্রাপ্তি ঘটবে তা জেনে নেই
***
শ্রীমদভগবতগীতার মতে সাত্বিক
ব্যক্তির ২২ টা গুন থাকে, আর
সাত্বিক ভক্তরাই কেবলমাত্র ঈশ্বর
প্রাপ্তি করতে পারে। এটা আমার
কথা না, ভগবানের নিজের মুখের
কথা । আসুন জানি এই ২২ টা গুন কি
কি,
১) স্বার্থ ত্যাগ করা।
২) অহিংসা।
৩) সত্য।
৪) ক্রোধ না করা।
৫) ধর্মের জন্য ত্যাগ স্বীকার করা।
৬) মনের শান্তি।
৭) নিন্দা না করা।
৮) দয়াভাব।
৯) সুখের প্রতি আকর্ষিত না হওয়া।
১০) বিনা কারনে কোন কার্য না
করা।
১১) তেজ।
১২) ক্ষমা।
১৩) ধৈর্য্য।
১৪) শরীরের শুদ্ধতা।
১৫) ধর্মের বিরোধিতা না করা।
১৬) অহংকার না করা।
১৭) হিংসা ত্যাগ করা।
১৮) জীব হত্যা না করা।
১৯) জীবের কল্যান করা।
২০) ঈশ্বরের প্রতি সমার্পন।
২১) সকল জীবের প্রতি করুনা করা।
২২) সকল প্রকার কামনা ত্যাগ করা।
এই গুনগুলি প্রকৃত মানুষের গুন,এই গুনই
ঈশ্বর প্রাপ্তির পথ । আশা করি আমরা
এই গুন অর্জন করার চেস্টা করব।
হরেকৃষ্ণ।
সংগ্রহ

Saturday, September 2, 2017

পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, সনাতন ধর্ম শিক্ষা /sanatan dharmer prachar

               সনাতন ধর্ম শিক্ষা
---------------------------------------------
                ১ম অধ্যায়

         পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ::

প্রশ্ন :১। আমাদের সকলের সৃষ্টিকর্তা কে?

উওরঃ পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন আমাদের সকলের সৃষ্টিকর্তা।

প্রশ্ন : ২। কি ভাবে বুঝলাম শ্রীকৃষ্ণ আমাদের সৃষ্টিকর্তা?

উওরঃ কারন বেদ-গীতা সমগ্র শাস্ত্রে বলা হয়েছে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের একমাত্র সৃষ্টিকর্তা।

প্রশ্ন :৩। পরমেশ্বর শব্দের অর্থ কি?

উওরঃ পরমেশ্বর ( পরম + ঈশ্বর) মানে হচ্ছে, যিনি পরম ঈশ্বর।অর্থাৎ ঈশ্বরগণেরও ঈশ্বর। ঈশ্বর শব্দের অর্থ প্রভু।প্রকৃতির এক একটা ক্ষমতা যারা কৃষ্ণের কাছ থেকে প্রাপ্ত হয়েছে,তাদের অনেক সময় প্রভু বা ঈশ্বর বলা হয়।আর এই ঈশ্বরগণেরও যিনি ঈশ্বর,তিনিই পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।ব্রহ্ম সংহিতায় (৫/১) বলা হয়েছে,

ঈশ্বরঃ পরমঃ কৃষ্ণঃ সচ্চিদানন্দ বিগ্রহঃ
অনাদিরাদিগোবিন্দঃ সর্বকারণকারণম।।

               " শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন পরম পুরুষোত্তম পরমেশ্বর ভগবান।তার শ্রীবিগ্রহ অর্থাৎ শ্রীদেহ সৎ- চিৎ আনন্দঘন,অর্থাৎ নিত্য শাশ্বত, চিন্ময় বা জ্ঞানময় এবং চিদানন্দময়।তার কোন আদি নেই।কারণ তিনিই অনাদির অাদি,সব কিছুর উৎস।তিনিই সর্বকারণের আদি কারণ,সকল অস্তিত্বের পরম উৎস।"

প্রশ্ন : ৪। ভগবান শব্দের অর্থ কি?

উওরঃ ভগবান শব্দটি সংস্কৃত। ' ভগ' শব্দের অর্থ ঐশ্বর্য এবং বান শব্দের অর্থ যুক্ত। তাই ভগবান শব্দের অর্থ,যিনি সম্পূর্ণ ভাবে ৬টি ঐশ্বর্য সমন্বিত গুন যুক্ত।বিষ্ণু পুরাণে ( ৬/৫/৪৭) বলা হয়েছে, এই ৬টি গুন হল- ১/ সমগ্র ঐশ্বর্য ( ধন - সম্পদ), ২/ সমগ্র বীর্য ( শক্তিমত্তা) , ৩/ সমগ্র যশ,৪/ সমগ্র শ্রী ( সৌন্দর্য) , ৫ সমগ্র জ্ঞান, ৬/ সমগ্র বৈরাগ্য।

এই ৬টি গুন পূর্ণ মাত্রায় একমাত্র শ্রীকৃষ্ণের মধ্যেই রয়েছে। তাই শ্রীকৃষ্ণই একমাত্র পরমেশ্বর ভগবান।

প্রশ্ন : ৫। ভগবান কি কোন নাম?

উওরঃ ভগবান কোন নাম নয়,এটি হচ্ছে পদবীর নাম।প্রধানমন্ত্রীর যেমন নাম রয়েছে,রাষ্ট্রপতির নাম রয়েছে,বাবারও একটি নাম রয়েছে। এগুলো হচ্ছে পদবী। তেমনি ভগবানেরও নাম রয়েছে, আর তা হল শ্রীকৃষ্ণ।জলকে যেমন বিভিন্ন নামে ডাকা হয়,তেমনি ভগবানকেও বিভিন্ন নামে  ডাকা হয়।যেমন- গোবিন্দ, হরি,নারায়ণ, ব্রহ্ম, কৃষ্ণ,ইষ্ট,বিষ্ণু, রাম ইত্যাদি।

প্রশ্ন : ৬। ভগবান,ঈশ্বর,ঠাকুর,গড সব নাম কি এক জনকেই বুঝায়?

উওরঃ হ্যাঁ, যে যেনামেই তাকে ডাকুক, সে কৃষ্ণকেই ডাকতেছে।ভগবান,ঈশ্বর,ঠাকুর,গড এগুলো শ্রীকৃষ্ণের পদবী। এ কথা গীতায় ( ৪/১১) ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন," সকলেই সর্বতোভাবে আমার পথ অনুসরণ করে।"
        
যাহারা মনে করে ভগবান,ঈশ্বর মানে কৃষ্ণ নয়,তারা বোকার স্বর্গে বাস করে।কারন কৃষ্ণ ছাড়া দ্বিতীয় কোন ঈশ্বর নেই।

চৈতন্য চরিতামৃতে ( ১/৫/১৪২) বলা হয়েছে," একলা ঈশ্বর কৃষ্ণ, আর সব ভৃত্য।" অর্থাৎ কৃষ্ণ একাই এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের ঈশ্বর, আর আমরা সবাই হচ্ছি তার সেবক।

প্রশ্ন : ৭। কৃষ্ণ শব্দের অর্থ কি?

উওরঃ কৃষ্ণ সংস্কৃত শব্দ, যার অর্থ হচ্ছে সর্বাকর্ষক। তিনি সর্বাকর্ষক পরম পুরুষ।যিনি সকলকে আকর্ষণ পূর্বক আনন্দ প্রদান করেন।

প্রশ্ন : ৮। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দেখতে কেমন?

উওরঃ ব্রহ্ম সংহিতায় (৫/৩০,৩১) বলা হয়েছে," তিনি ত্রিভঙ্গললিত, গোপবেশ, তার মস্তক ময়ূর পুচ্ছ যুক্ত, তার নয়নদ্বয় পদ্মের পাঁপড়ির মত আয়তাকার ও সুকোমল, তার গলদেশ  শোভমান বৈজয়ন্তী মালা,তার সুন্দর অধরে শোভিত  মোহন মুরলী, তার গাত্র বর্ণ ঘন মেঘের মত নীলাভ, তিনি দিব্য আভরণভূষিত সুন্দরাঙ্গ,তিনি নিত্য নব- নবায়নমান যৌবন সম্পন্ন।"

প্রশ্ন : ৯। ভগবান কোথায় থাবেন?

উওরঃ ভগবান সর্বত্রই থাকেন।তিনি পরমাত্মা রুপে প্রতিটি অনু- পরমাণুর মধ্যে রয়েছেন,আবার প্রতিটি জীবের  হৃদয়েও রয়েছেন। এছাড়া ভগবান শ্রীকৃষ্ণের একটি নির্দিষ্ট ধাম রয়েছে,যা চিন্ময় জগতের সবার উর্ধ্বে অবস্থিত, গোলক বৃন্দাবন ধাম।

প্রশ্ন : ১০। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর, তিনে মিলে এক ঈশ্বর - কথাটির অর্থ কি?

উওরঃ অর্থাৎ ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব তিন জনের মিলিত শক্তিই হচ্ছে ঈশ্বর বা ভগবান।আর ঈশ্বর হচ্ছেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণই ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব রুপে সমগ্র জগৎকে পরিচালনা করেন।শ্রীকৃষ্ণ ব্রহ্মা রুপে সৃষ্টি করেন,বিষ্ণু রুপে পালন করেন এবং শিব রুপে ধ্বংস করেন।

বিষ্ণু পুরাণে( ১/২/৬২) বলা হয়েছে, " একমাত্র ভগবান শ্রীকৃষ্ণই সৃষ্টি, স্থিতি ও লয় করিবার জন্য ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব এইরুপ সংজ্ঞা প্রাপ্ত হন।"

প্রশ্ন : ১১।  কৃষ্ণ কে?  গীতায়, ভাগবতে কৃষ্ণ সম্পর্কে কি বলা হয়েছে?

উওরঃ কৃষ্ণ হচ্ছে সর্বশক্তিমান, সর্বশ্রেষ্ঠ, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের একমাত্র মালিক,একমাত্র উপাস্য,একমাত্র স্রষ্টা, পরম পুরুষোত্তম, পরমেশ্বর ভগবান।তিনিই সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা এবং সংহারকর্তা।

গীতা পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী।
দেখা যাক ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার
নিজের সম্পর্কে গীতায় কি
বলেছেন-

১/ যে ব্যক্তি কৃষ্ণভাবনায় যুক্ত নয়,তার মন সংযত নয়। (২/৬৬)

২/ সকলেই সর্বতোভাবে আমার পথ অনুসরণ করে।(৪/১১)

৩/ আমি সর্বলোকের মহেশ্বর (মহ+ঈশ্বর)।
(৫/২৯)

৪/ আমিই সমস্ত জগতের উৎপত্তি ও
প্রলয়ের মূল কারণ। (৭/৬)

৫/ আমার থেকে শ্রেষ্ঠ আর কেউ নেই।
(৭/৭)

৬/ পরমাত্মা রুপে আমি সকলের হৃদয়ে
বিরাজ করি। (৭/২১)

৭/ পরমেশ্বর ভগবান রুপে আমি
অতীত,বর্তমান ও ভবিষ্যৎ
সম্বন্ধে সম্পূূর্ণরুপে অবগত। (৭/২৬)

৮/ আমাকে প্রাপ্ত হলে আর পূর্ণজন্ম হয়
না। (৮/১৬)

৯/ সর্বশ্রেষ্ঠ পরমেশ্বর ভগবানকে অনন্যা
ভক্তির মাধ্যমেই কেবল লাভ করা যায়। (৮/২২)

১০/ অব্যক্ত রুপে আমি সমস্ত জগতে ব্যাপ্ত আছি। (৯/৪)

১১/ আমি নিজেই সমস্ত সৃষ্টির উৎস। (৯/৫)

১২/ এই জগৎ আমারই প্রকৃতির অধীন। (৯/৮)

১৩/ আমিই এই জগতের পিতা। (৯/১৭)

১৪/ আমিই এই জগতের বিধাতা
(সৃষ্টিকর্তা) । (৯/১৭)

১৫/ আমি সকলের গতি। (৯/১৮)

১৬/ আমি তাপ প্রদান করি এবং আমি
বৃষ্টি বর্ষণ করি ও আকর্ষণ করি। (৯/১৯)

১৭/ আমিই সমস্ত যজ্ঞের ভোক্তা ও প্রভু।
(৯/২৪)

১৮/ আমি সকলের প্রতি সমভাবাপন্ন।
(৯/২৯)

১৯/ সব কিছু আমার থেকে প্রবর্তিত হয়।
(১০/৮)

২০/ মনুষ্যদের মধ্যে আমি সম্রাট। (১০/২৭)

২১/ অব্যয় অমৃতের,শাশ্বত ধর্মের এবং
ঐকান্তিক সুখের আমিই আশ্রয়। (১৪/২৭)

২২/ আমিই সমস্ত বেদের জ্ঞাতব্য এবং
আমিই বেদান্তকর্তা ও বেদবিৎ। (১৫/১৫)

২৩/ বেদে আমি পুরুষোত্তম নামে বিখ্যাত। (১৫/১৮)

২৪/ সর্ব প্রকার ধর্ম পরিত্যাগ করে কেবল
আমার শরনাগত হও। (১৮/৬৬)

আর ভাগবতে বলা হয়েছে -

১/ ভগবান হচ্ছেন দ্রষ্টা। (৩/৫/২৫)

২/ ভগবান নিত্য আনন্দময় এবং জ্ঞানময়।(৩/৯/৩)

৩/ শ্রীকৃষ্ণ সর্ব মঙ্গলময়।(৩/৯/৭)

৪/ শ্রীকৃষ্ণ পরমেশ্বর ভগবান স্বয়ং। (১/৩/২৮)

৫/ পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সর্বকারণের পরম কারণ।( ৩/১১/২৪)

৬/ পরমেশ্বর ভগবানের শক্তি অনন্ত। (৩/৯/২৫)

৭/ ভগবানের রুপ সর্বদাই তরুন।( ৪/৮/৪৬)

৮/ ভগবান একজন পুরুষ।(৪/৮/৪৭)

৯/ শ্রীকৃষ্ণ সর্বশক্তিমান। ( ৪/৯/৬)

১০/ শ্রীকৃষ্ণ সব কিছুর সংহারকর্তা। তার আদি নেই,যদিও তিনি সব কিছুর আদি।(৪/১১/১৯)

             জয় শ্রীকৃষ্ণ

      সমীর চন্দ্র পন্ডিত/ samir chandra pondit 

Friday, August 18, 2017

এক মাত্র সত্য সনাতন ধর্ম /sanatan dharmer prachar

একমাত্র সত্য সনাতন ধর্ম:
১/ একমাত্র সনাতন ধর্মই ভগবানের
মনোনীত। ভগবানই সনাতন ধর্মের
প্রবর্তক এবং রক্ষক। গীতা(১৪/২৭),
"আমিই সনাতন ধর্মের আশ্রয়।"
২/ এই বিশ্বের এক মাত্র শ্রীকৃষ্ণই
সৃষ্টিকর্তা, আর দ্বিতীয় কোন ঈশ্বর
নেই।চৈতন্য চরিতামৃত (১/৫/১১৮),
"একলা ঈশ্বর কৃষ্ণ আর সব ভৃত্য।" গীতা,
(৯/১৭) " আমিই এই জগতের সৃষ্টিকর্তা। "
ভাগবত,(১/৩/২৮) " শ্রীকৃষ্ণ পরমেশ্বর
ভগবান স্বয়ং। " ভাগবত,(৪/৯/৬) "
শ্রীকৃষ্ণ সর্বশক্তিমান। " সামবেদ,
(৪০/১১) " সকল জগতের উৎপত্তির
একমাত্র কারন ভগবান।"ঋগবেদ (১/২২/২০)" ওঁ তদ বিষ্ণুো" পরমেশ্বর বিষ্ণুই হচ্ছে পরম সত্য।
৩/ এক মাত্র কৃষ্ণ ভক্তরাই মুক্তি লাভ
করবে,অন্য আর কেউ নয়। গীতা (১৮/৬৬)
" সর্ব প্রকার ধর্ম পরিত্যাগ করে কেবল
আমার শরণাগত হও।আমি তোমাকে
সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করব।" ভাগবত
(২/২৫/৪১) " আমি ব্যতীত অন্য কারও শরণ
গ্রহণ করলে,সে কখনোই মুক্তি লাভ
করতে পারে না।"
৪/ যারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা
মানে না,বা তার কথা মত চলে
না,তারা ধ্বংস হয়ে যায়। গীতা
(১৮/৫৮), "তুমি যদি অহংকার বশত
আমার কথা না শোন,তা হলে বিনষ্ট
হবে।"
৫/ সকল উপাসনার মধ্যে কৃষ্ণের
উপাসনা সবচেয়ে সহজ।শুধু মন, প্রাণ
দিয়ে কৃষ্ণকে ভালবাসলেই হয়।
ভাগবত (৩/২৫/২৬) " কৃষ্ণ ভক্তির পন্থা
হচ্ছে সব চাইতে সহজ সরল পন্থা। "
৬/ এই কলিযুগে শুধু কৃষ্ণ নাম,অর্থাৎ
হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ- কীর্তন করলেই
মুক্তি;অন্য আর কোন কিছুর প্রয়োজন
নেই।চৈতন্য চরিতামৃত (২/১১/৮৮), "
কলিযুগের ধর্ম, কৃষ্ণনাম সংকীর্তন।
"ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণ, শ্রীকৃষ্ণ জন্ম খণ্ড
(১৯/১৬৫), " এই কলিযুগে কৃষ্ণনাম বিনা
আর কোন গতি নেই।"বিষ্ণু পুরাণ,
(৬/২/১৭), " এই কলিযুগে ধ্যান, যজ্ঞ বা মন্দিরে অর্চনার প্রয়োজন নেই।কেবল শ্রীকৃষ্ণের দিব্য নাম-
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে
হরে,হরে রাম হরে রাম,রাম রাম হরে হরে - কীর্তন করার ফলে পূর্ণ অাত্মোপলব্ধি করা যায়।" কলিসন্তরন উপনিষদ(১/১,২) " ষোল নাম বিশিষ্ট হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র- হরেকৃষ্ণ হরেকৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে। কলিযুগের সমস্ত পাপ ও অশুভ কলুষ বিদরিত করে।দিব্য ভগবত নামী কীর্তন ব্যতীত কলিযুগে কলুষ মুক্ত হবার আর কোন উপায় নেই।সর্ব বেদে এই সিদ্ধান্তই হয়েছে। " শেষ কথা হচ্ছে এটি চৈতন্য মহাপ্রভুর অাদেশ।
৭/ যে ব্যক্তি বৈদিক ধর্ম ত্যাগ করে,
সে নাস্তিক, অসুর, পাপিষ্ঠ, সে
অবশ্যয়ই নরকে গমন করবে।কারন, সে
বেদকে,কৃষ্ণকে অস্বীকার করল।ঋগ
বেদ,(৮/৩০/৩) " হে প্রভু,পিতা মনু হতে
আগত পথ হতে আমরা যেন কখনো ভ্রষ্ট
না হই।"মনুসংহিতা, (২/১১) "যে
বেদকে অস্বীকার করল,সে নাস্তিক।
তাকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া
উচিত।"উপনিষদ,( তৈত্তিরীয় /২৪) "
বৈদিক ধর্ম হতে বিচ্যুত হইও না।"
গীতা, (১৬/১৯) " আমার প্রতি
বিদ্বেষী নরাধমদের আমি এই
সংসারেই অশুভ আসুরী যোনিতে
অবিরত নিক্ষেপ করি।"
৮/ সবাই কৃষ্ণ ভক্ত হবে এবং সবাই
মিলেমিশে এক সাথে থাকবে।
কেউ যেন কোন ভাবে সনাতন ধর্মের
কোন রুপ ক্ষতি করতে না পারে।
গীতা, (৯/৩১)" তুমি দীপ্ত কণ্ঠে
ঘোষণা কর যে,আমার ভক্ত কখনও
বিনষ্ট হন না।" উপনিষদ,
( তৈত্তিরীয় /২৪) " আত্মরক্ষা
বিষয়ে যত্নবান হইও।"অথর্ব বেদ,
(৬/৭/২/১) " হে জনগন,তোমরা সমান
জ্ঞানযুক্ত হও,একসাথে কাজ কর এবং
তোমাদের মন এক রুপ অর্থাৎ পরস্পর
বিরুদ্ধ জ্ঞান জনক যেন না হয়।" হরে
কৃষ্ণ

সমীর চন্দ্র পণ্ডিত/ samir chandra pondit 

আমি গর্বিত সনাতনধর্মাবলম্বী / sanatan dharmer prachar

আমি গর্বিত সনাতনধর্মাবলম্বী :::

আমি সনাতন ধর্মে জন্মগ্রহণ করেছি বলে গর্ব বোধ করি। কারণ এই ধর্ম জগৎকে শিখিয়েছে  কিভাবে প্রতিটি জীবকে ভালবাসতে হয়। এই ধর্মে একটি বিষধর সাপ, এমন কি একটি পিপিলীকাও নিরাপদ । বিবেকানন্দ বলেছেন,""আমি সেই ধর্মের অন্তর্ভুক্ত বলে গৌরব বোধ করি, যে ধর্ম জগতকে শিখিয়েছে সহিষ্ণুতা ও সার্বজনীন গ্রহিষ্ণুতার আদর্শ। আমরা শুধু সব ধর্মকে সহ্যই করি নাহ,সব ধর্মকে সত্য বলে বিশ্বাস করি।আমি সেই জাতির অন্তর্ভুক্ত বলে গর্ব বোধ করি,যে জাতি ধর্মের নিপীড়িত ও শরণার্থী মানুষকে আশ্রয় দিয়ে এসেছে। ""

সনাতন ধর্ম একটি বিশাল সমুদ্র বিশেষ, এখানে সকলের স্থান রয়েছে। কে ধনী,গরীব,কে কোন বর্ণের , কে কোন ধর্মের ! সনাতন ধর্ম বলে তোমরা প্রত্যকেই সনাতন ধর্মাবলম্বী। এখানে স্বাধীন মত প্রকাশ রয়েছে, তা ফল যাই হোক। কেউ হয়তো বুদ্ধির দিক থেকে খাটো, তাই তার রুচি ও স্বভাব অনুসারে দেব-দেবী বা নিরাকার উপাসনা করে, তাই বলে সনাতন ধর্মের বাইরে নয়। সনাতন ধর্ম মানুষকে দিচ্ছে একটি  পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যাবস্থা জন্মের পূর্ব থেকে শুরু করে মৃত্যর পরবর্তী পর্যন্ত কি তার করণীয় তার জন্য রয়েছে দশবিধ সংস্কার। কিভাবে ভগবানকে লাভ করবে তার জন্য রয়েছে বর্ণাশ্রম। এছাড়া অর্থবিদ্যা, চিকিৎসা বিদ্যা, মহাকাশ বিদ্যা, উদ্ভিদ বিদ্যা, প্রানী বিদ্যা, গণিত বিদ্যা, সামাজিকতা ;এমন কোন বিষয় নেই যে যা সনাতন ধর্মে পাওয়া যায় না, কি জাগতিক, কি পারমার্থিক সকল  প্রশ্নের উত্তর সনাতন ধর্মে দেওয়া হয়েছে। সৃষ্টিকর্তা কি রকম সাকার না নিরাকার, সাকার হলে কি রকম আর নিরাকার হলে কি রকম, সাকার উপাসনার লাভ কি বা নিরাকার উপাসনার লাভ কি। আত্মা কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে, তার আয়তন কত সে কিভাবে চলাচল করে। এ রকম সব বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা যায় সনাতন ধর্মের মাধ্যমে। সনাতন ধর্ম বলে তোমরা শান্তিতে থাকো, হিংসা বিদ্বেষ ধর্মের পরিপন্থী, তাই ভগবান গীতায় (১১/৫৫) বলেছেন “ সমস্ত প্রানীর প্রতি শ্ত্রুভাব রহিত হও।“ সনাতন ধর্ম কখনো কাহারো উপর জুলুম করে নি। আগ্রাসন চালাইনি, নিজের ধর্ম জোর করে অন্যের উপর চাপিয়ে দেয় নি, বরং হাজারো নির্যাতন নিপীড়ন হওয়ার পরও মুখ বুঝে সহ্য করে আছে।
আমি সনাতন ধর্মে জন্মগ্রহন করেছি বলে গর্ব বোধ করি, তার থেকেও বেশী গর্ববোধ করি কৃষ্ণ ভক্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেছি বলে, আমার মা বাবা কৃষ্ণ ভক্ত বলে আমি সহজেই কৃষ্ণ ভক্তি শিক্ষা লাভ করেতে পেরেছি, মা বাবা প্রসাদ ভোজী হওয়ার আমি প্রতিদিন কৃষ্ণ প্রসাদ খাবার সুযোগ পেয়েছি।
পূর্বজন্মে স্বীকৃতি না থাকলে কেউ কৃষ্ণ ভক্ত হতে পারে না। যে কৃষ্ণভক্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেনি সে এক রকম দুর্ভাগা , কারণ তার  পরমেশ্বর শ্রী কৃষ্ণ কে লাভ করা অনেক কঠিন, আর যে অভক্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেও কোন ভক্তের মাধ্যমে কৃষ্ণভক্ত হয় তবে সে বাবা মার দ্বারা প্রহলাদের মত নির্যাতিত হয়।
সে যাই হোক আমাদের সন্তানরা যেন কৃষ্ণভক্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করতে পারে সে চেষ্টা করা উচিত। তারা যেন গর্বের সহিত বলতে পারে আমি কৃষ্ণভক্ত, আমি গর্বিত সনাতন ধর্মাবলম্বী।

                  জয় শ্রীকৃষ্ণ

রচনা ও সম্পাদনা :  সমীর  চন্দ্র পন্ডিত

শ্রীকৃষ্ণ কে? /sanatan dharmer prachar

ওঁ তৎ সৎ
১.শ্রীকৃষ্ণ কে ?
২.শ্রীকৃষ্ণ এত আকর্ষনীয় কেন ?
৩.শ্রীকৃষ্ণ কোথায় অবস্থান করেন ?
৪.শ্রীকৃষ্ণ কেন আবির্ভূত হন ?

১.শ্রীকৃষ্ণ কে ?
উত্তর: শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন পরমেশ্বর ভগবান, পরমব্রহ্ম ও অনাদির আদি।শ্রীকৃষ্ণই সকল সত্তার উৎস।শ্রীকৃষ্ণই আদি,মধ্য এবং অন্ত্য।সর্বকারনের পরম কারণ,শ্রীকৃষ্ণ পূর্ণ-পুর্নম।

২. শ্রীকৃষ্ণ এত আকর্ষনীয় কেন ?
উত্তর: শ্রীকৃষ্ণ সর্ব ঐশ্বর্যে পূর্ণ।তাঁর মধ্যে সকল ঐশ্বর্য ,সকল শ্রী ,সকল বীর্য ,সকল জ্ঞান, সকল যশ ,সকল বৈরাগ্য পূর্ণরূপে বিরাজমান ।

৩. শ্রীকৃষ্ণ কোথায় অবস্থান করেন ?
উত্তর: চিৎ জগতের গোলক বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং বিরাজমান।গোলক বৃন্দাবন বেষ্টনকারী অন্তহীন চিৎজগতের বৈকুন্ঠধামে শ্রীকৃষ্ণ চতুর্ভুজরূপী নারায়ন রূপে বিরাজমান।শ্রীকৃষ্ণ মহাবিষ্ণুরূপে নিজেকে বিস্তার করেন এবং এই সীমাবদ্ধ জড়ো বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টি করেন।
শ্রীকৃষ্ণ প্রতিটি ব্রহ্মান্ডে গর্ভোদকশায়ী বিষ্ণুরূপে প্রবেশ করেন এবং সেগুলিকে পরিচালনা করেন।
শ্রীকৃষ্ণ প্রতিটি জীবসত্তা , জড়বস্তু , সক্রিয় কিংবা
নিস্ক্রিয় শরীরে ক্ষীরোদকশায়ী বিষ্ণুরূপে
প্রবেশ করেন এবং তাদের প্রতিপালন করেন।

৪. শ্রীকৃষ্ণ কেন আবির্ভূত হন ?
উত্তর: যখন এবং যেখানে ধর্মীয় অনুশাসনের অধঃপতন ঘটে এবং অধর্মের অভূত্থান ঘটে ঠিক তখনি সাধুদের পরিত্রান করার জন্য এবং দুস্কৃতিকারীদের বিনাশ করার জন্য শ্রীকৃষ্ণ যুগে যুগে অবতীর্ণ হন।শ্রীকৃষ্ণ ব্রহ্মার জীবনাবসানের একদিনে একবার বা প্রতি ৮৬০ কোটি বছর পর একবার আবির্ভূত হন।